সরকার ও আ. লীগের ত্রাণ তৎপরতায় দিশেহারা বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

2222

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী ত্রাণ তৎপরতায় বিএনপি দিশেহারার মতো কথা বলছে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে দেওয়া বক্তব্যে চলমান ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে তিনি একথা বলেন।

এ সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলাকালে সহায়তা চেয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে সাংবাদিকদের তালিকা হস্তান্তর করেন বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতারা।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে সরকার নানাভাবে সহায়তার আওতায় এনেছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে ক’দিন আগে তিতুমীর কলেজে ছাত্রদলের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখেছি। আর মির্জা ফখরুল সাহেব বলছেন, তারা সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ করছেন। কিন্তু জনগণ তা দেখতে পাচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন আসছে, তারা কাকে ত্রাণ বিতরণ করছেন!’ বিএনপি এখনও শুধু ঢাকা শহরে কয়েকটা লোক দেখানো ফটোসেশনে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৭২ হাজারের মতো স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি রয়েছে। এরমধ্যে অনিয়মের ঘটনা আনুপাতিক হারে দুই হাজারে একটির মতো, যদিও একটি ঘটনাও কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের আগে মোবাইল কোর্টে বিচার হচ্ছে। পরে নিয়মিত মামলার হাত থেকেও এদের রেহাই নেই।’

এসময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে সাংবাদিকদের তালিকা হস্তান্তর করেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে'র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিএফইউজে ও ডিইউজের পক্ষ থেকে সারাদেশের সাংবাদিকদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে কীভাবে রেশনিংয়ের আওতায় আনা যায়, সেটি আমরা আলোচনা করেছি। একইসঙ্গে কীভাবে আর্থিক সহায়তা করা যায়, সেটিও আলোচনা হয়েছে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন,  ‘যেহেতু সাংবাদিকরা ঝুঁকির মধ্যে থেকে কাজ করছেন, সংবাদ পরিবেশন করছেন এবং করোনা মোকাবিলাতেও তারা কাজ করছেন, আমরা আশা করছি, শিগগিরই তাদের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে আমরা সক্ষম হবো।’  জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইতোমধ্যে একটি ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি মো. মতিউর রহমান তালুকদার ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজ পেপার প্রেস ওয়ার্কার্স সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন খানও এসময় মন্ত্রীর কাছে নিজ নিজ সংগঠনের সদস্যদের তালিকা হস্তান্তর করেন।

এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।