সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বাতিল করা ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ সাত লাখ ৫১ হাজার ৫৮৯ দশমিক ২২ একর। বিগত ৫ বছরে বাতিল করা ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে তিন লাখ ৮৩ হাজার ১৪টি আবেদন পড়েছে।
কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন কার্যকর হওয়ার পর মোট এক লাখ ৮১ হাজার ৭০ দশমিক শূন্য ২ একর ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘ক’ তফসিল সংক্রান্ত ২৩ হাজার ৩০১ দশমিক ৩৬ একের জমির মামলা ট্র্যাইব্যুনালে রায় হয়েছে। যার মধ্যে ১০ হাজার ২৫৫ দশমিক ১৫ একরের রায় ব্যক্তির পক্ষে এবং ১৩ হাজার ৪৬ দশমিক ২২ সরকার পক্ষে রায় হয়েছে। এছাড়া ‘খ’ তফসিলে এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬৮ দশমিক ৬৬ একর ভূমির রেকর্ড সংশোধন হয়েছে। যার মধ্যে ব্যক্তি পক্ষে গেছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৭৫২ দশমিক ১৫ একর আর সরকারের পক্ষে গেছে দুই হাজার ১৫ দশমিক ৮৬ একর। এই ২ হাজার ১৫ দশমিক ৮৬ একর জমি মূলত ‘স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট-১৯৫০’-এর বিধান অনুসারে খাস খতিয়ানভুক্ত হয়েছে।
কার্যপত্র থেকে আরও জানা গেছে, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন প্রতিষ্ঠানের মোট পদের সংখ্যা ১৯ হাজার ৪২০টি। এর মধ্যে শূন্য পদ ৯ হাজার ২৪৩টি। শূন্য পদের মধ্যে ৪০৯টি প্রথম শ্রেণি, এক হাজার ২০৫টি দ্বিতীয় শ্রেণি, ৫ হাজার ৯৮৬টি তৃতীয় শ্রেণি ও এক হাজার ৬৪৩টি চতুর্থ শ্রেণির।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে—বৈঠকে সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয়ভাবে গাড়ি কেনা, স্থানীয় পর্যায়ে ভূমি অফিসগুলোর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ভূমি অফিসের রেকর্ডরুমের নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মো. হাবিবর রহমান, নেছার আহমদ ও উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম বৈঠকে অংশ নেন।