দিয়া-রাজিব হত্যা মামলার রায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর মাইলফলক: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

বাসচাপায় রাজধানীর রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া ও রাজীবের প্রাণনাশের দায়ে দুই বাসের চালক ও এক সহকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে এই রায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের আবাসিক অফিসে মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেছেন মন্ত্রী।

এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এই মামলা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে যা যা করণীয়, তা করা হবে। এই মামলার পেপারবুক তৈরি হওয়ামাত্র উচ্চ আদালতে শুনানির তালিকায় আনার চেষ্টা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারিক আদালত এই মামলার আসামিদের সব আইনি অধিকার দিয়ে এবং আইনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিচার কাজ শেষ করে রায় দিয়েছেন। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য সড়ককে নিরাপদ করা এবং সড়ক পরিবহন আইনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করা। এই মামলার বিচারের মধ্য দিয়ে আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে পেছনে ফেলার আরেকটা মাইলফলক পার হলাম।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কালশি ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নেমে সেখানে দাঁড়ায়। এসময় পেছন থেকে জাবালে নূরের আরেকটি বাস দ্রুতগতিতে ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাজীব ও দিয়া।  আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

এই ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলা করেন।

এরই ধারাবাহিকতায়, ওই মামলায় রবিবার (১ ডিসেম্বর) প্রতিযোগিতাকারী দুই বাসের চালক ও এক সহকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো−জাবালে নূরের চালক মাসুম বিল্লাহ, আরেক গাড়ির চালক জোবায়ের সুমন ও হেলপার আসাদ কাজী। আসাদ পলাতক রয়েছে।

এই মামলার বাকি দুই আসামি হেলপার এনায়েত হোসেন এবং বাস মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে খালাস দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করেন।