ইউসুফ উল্লাহ অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনে ১৯৯৪ সালে কমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৮ মে তিনি মারা যান। ইব্রাহীমপুর এলাকায় তিনি জনকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত থাকায় জনপ্রিয় ছিলেন।
ফলক উন্মোচনের আগে ইউসুফ উল্লাহকে স্মরণ করেন স্থানীয় মানুষজন। অনুষ্ঠিত হয় মিলাহ মাহফিল।
মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বলেন, ‘সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ইউসুফ উল্লাহ মানুষের কাছে এখনও জনপ্রিয়। তিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন, মানুষের পাশে ছিলেন।’
ছাত্রজীবন থেকেই ইউসুফ উল্লাহ রাজনীতি ও সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন বলে জানান তার স্ত্রী রোকাইয়া ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘সব সময় মানুষের পাশে থাকার কারণে তিনি বরাবরই জনপ্রিয়। তিনি ১৯৯৪ সালে কৃষি ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচনে অংশ নেন। এলাকায় উন্নয়ন, শিক্ষা, সমাজসেবায় তিনি আন্তরিক ছিলেন।’
১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর আগে এ সড়কের নামকরণের জন্য আবেদন করা হয়। দীর্ঘ সময় পর সিটি করপোরেশন নামকরণের অনুমোদন দিয়েছেন। ইউসুফ উল্লাহ মানুষের কাছে এখনও জনপ্রিয়, তাই মানুষ এ নামকরণে সমর্থন দিয়েছেন। শিক্ষার জন্য বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ইউসুফ উল্লাহ।’ ইব্রাহীমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুসলিম মডার্ন স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ইউসুফ উল্লাহ ভূমিকা রাখেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।