প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় বান কি মুন

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের প্রশংসা করলেন ঢাকা সফররত জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। তার মন্তব্য, অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

images

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার আলামত। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হলেও সেই চুক্তির আওতায় এখনও একজন রোহিঙ্গাও রাখাইনে ফিরে যায়নি। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারকে দায়ী করলেও নেপিদো প্রত্যাবাসন চুক্তি কার্যকর না হওয়ার দায় বাংলাদেশের ওপর চাপাচ্ছে। 

নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক এই মহাসচিব।

দেশ ও বিশ্বের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বান কি মুন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বের অল্প কয়েকজন নেতার একজন যিনি চিরায়ত ধারণার বাইরে গিয়ে কাজ করতে পেরেছেন। তার সরকারের আমলে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করে বান কি মুন বলেন, হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের জন্য মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।