‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও বিশিষ্টজনদের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এই গোল টেবিল বৈঠকে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে মানুষের অধিকার, মানবাধিকার। এই মানবাধিকার এই দেশের মানুষ সব সময় আনন্দের সঙ্গে ভোগ করেছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে অভিযোগ হলো, এত ভোট কীভাবে হলো?’
২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘এসব নির্বাচনেও মানুষ ভোট দিয়েছিল, ২০০১ সালে ৭৫ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে ৮৭ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ২০০১ সালের দুঃশাসনের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। এই কারণে ২০০৮ সালে তারা আগ্রহ নিয়ে ভোট দিয়েছিল। মানুষ তখন বলেছিল, যারা পাকিস্তানের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে, তাদের আমরা চাই না।’
একই কারণে এবারের নির্বাচনেও মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে দাবি করে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘নির্বাচনটা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তারপরও কিছু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে।’
একই অনুষ্ঠানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে টিআইবির করা জরিপের সমালোচনা করেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ‘টিআইয়ের এই গবেষণা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। পৃথিবীর কোথাও শতভাগ স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি, তা সম্ভবও নয়। টিআইবির যে কোনও গবেষণায় স্বচ্ছ থাকা দরকার। এখানে তারা এমনটা দেখাতে পারেনি।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট গৌতম ঘোষ বলেন, ‘স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে মারামারি হয়েছে, গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। কিন্তু এখানে (বাংলাদেশ) তো এমন কিছু হয়নি।’
নির্বাচনে নেপালের পর্যবেক্ষক মহাম্মদীন আলী বলেন, ‘আমরা কোনও রাজনীতি দলের না, বাংলাদেশের কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থনও করি না। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়েছেন, কোথাও কোনও কারচুপি হতে দেখিনি, এমন অভিযোগ কেউ করেননি।’
গোল টেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবেদ আলী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইউসূফ হোসেন হুমায়ূন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ, সাবেক সেনা প্রধান-হারুন-অর রশীদ, নির্বাচনে বিদেশি সাংবাদিক কলকাতা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কমল ভট্টাচার্য প্রমুখ।