জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো খিরসাপাত আম

খিরসাপাত আম

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পেলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম। দেশের তৃতীয় পণ্য হিসেবে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম’ জিআই নিবন্ধন পায়।

রবিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এই সনদ তুলে দেন। ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) সনদ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। কোনও একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ওই দেশের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনও একটি অনন্য গুণমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে সেটিকে ওই দেশের জিআই হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই গুণমানসম্পন্ন সেই পণ্য শুধু ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী হলেও দীর্ঘ সময় ধরে জিআই আইন না থাকায় দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের মালিকানা সুরক্ষার সুযোগ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ এবং ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। এরপরই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য নিবন্ধনের পথ সুগম হয়। ডিপিডিটি দেশের প্রথম ঐতিহ্যবাহী পণ্য হিসেবে জামদানিকে জিআই নিবন্ধন দিয়েছে। পরবর্তীতে জাতীয় মাছ ইলিশ জিআই সনদ লাভ করেছে।
খিরসাপাত আম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অত্যন্ত সুস্বাদু ফল। বর্তমানে দেশের মোট উৎপাদিত আমের শতকরা ২০-২৫ ভাগ আমই খিরসাপাত জাতের। এ জাতের আম প্রতিবছর রফতানি হওয়া আমের তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আম রফতানি হচ্ছে। খিরসাপাত আমের বিপুল সম্ভাবনা বিবেচনা করে এর জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জিআই নিবন্ধনের জন্য বিশ্ববাজারে এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম নামে পরিচিতি পাবে। এর ফলে এ আমের আবাদ বাড়াতে বাগান মালিকরা আগ্রহী হবেন। এ সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় আম চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষিভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খবর বাসস।