ইকোসিস্টেম ঠিক রেখে গ্রামের উন্নয়ন করতে হবে

সেমিনারে বক্তরাইকোসিস্টেম ঠিক রেখে গ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে গ্রামগুলো গড়ে তোলা দরকার। এজন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সবার মতামত নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করে কাজ করতে হবে।

রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রাম উন্নয়ন নীতিমালা শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবার)-এর চেয়ারম্যান আবু নাছের খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি (চুয়েট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সজল চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আবু নাছের খান বলেন, ‘গ্রাম উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগ একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইনের মাধ্যমে নেওয়া উচিত। তরুণ প্রজন্ম, পরিবেশবাদী, রাজনীতিবিদসহ আলাদা আলাদা মত থাকতেই পারে। এই মতের মধ্যে ঐক্যমত গড়ে তুলতে হবে। এটি একটি অভিযাত্রার শুরু।’

তিনি বলেন, ‘ইকো ভিলেজ নিয়ে নানা মত, নানা ধারণা, নানা মডেল আছে। সবার মতামত নিয়ে এই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক গ্রামের ইকোসিস্টেম ঠিক রেখেই গ্রামের এই উন্নয়ন করতে হবে। গ্রাম উন্নয়নে সবার মতামত নিয়ে নীতিমালা করে বাস্তবায়ন করতে হবে।’

আব্দুস সোবহান বলেন, রাস্তাঘাট নির্মাণে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। ইচ্ছেমতো করা হয়। এক্ষেত্রে মাস্টারপ্ল্যান করা গেলে এই সমস্যা হতো না। আগে বাড়ি বানানো হয়, পরে রাস্তা সম্প্রসারণ করার কাজ হয়।

মূল বক্তব্যে সজল চৌধুরী বলেন, গ্রামে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, এমনকি মুদি দোকান বা লাইব্রেরি থাকতে হবে। তবে সেটি হতে হবে গ্রামের জীবনধারণের রূপরেখার কথা চিন্তা করে। দেশীয় প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং দিকনির্দেশনা দরকার। পরিবেশ দূষণের হাত থেকে গ্রামের মানুষকে কীভাবে রক্ষা করা যায় তা চিন্তা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই ইকো ভিলেজ স্থাপন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১০ বছরের জন্য একটি গ্রাম পরিকল্পনা কর্মসূচি নিতে হবে। এজন্য স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। গ্রাম পর্যায়েও গ্রাম পরিষদ নামে আরেকটা স্থানীয় সরকার কাঠামো গড়ে তোলা যেতে পারে। গ্রামের এসব উন্নয়ন করা গেলে বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দুয়ার খুলে যাবে।