রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ৮টা ৩৬ মিনিটে। নামাজের মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। পাশাপাশি দেশের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের জন্য দোয়া চাওয়া হয়। এসময় রাষ্ট্রপতিসহ দেশের জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর দীর্ঘায়ু ও উন্নতির জন্যও দোয়া করা হয়।
ঈদগাহের জামাতে এবার অন্যবারের চেয়ে অনেক বেশি লোক সমাগম হয়েছে। ঈদগাহে জায়গা না পেয়ে বাইরে রাস্তার ওপরেই জামাতে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। দক্ষিণে শিক্ষাভবন, উত্তরে মৎস্য ভবন ও পূর্বে প্রেসক্লাবের গেট পর্যন্ত রাস্তার ওপরই ঈদ জামাতে মানুষ শরিক হন।
এর আগে, সকাল থেকেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার জন্য সমাগম ঘটে অসংখ্য মানুষের। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করে। এ কারণে ঈদগাহের বাইরের প্রধান সড়কে মুসল্লিদের লম্বা লাইন দেখা দেয়।
এছাড়া, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আশেপাশে ছিলেন প্রচুর বিদেশি সাংবাদিক। এর আগের ঈদ জামাতে এমনটি লক্ষ্য করা যায়নি। এবার ফটো সাংবাদিকসহ বিদেশি সাংবাদিকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
প্রসঙ্গত, ঈদ জামাত উপলক্ষে এবার বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বোমা নিষ্ক্রিয় করার মেটাল ডিটেক্টর ছাড়াও জাতীয় ঈদগাহ মাঠের পুরো অংশ ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। মাঠ ও এর আশেপাশে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সোয়াত, এপিবিএনসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছিলেন ।
ছবি: চৌধুরী আকবর হোসেন
/ওএফ/এমও/এপিএইচ/
আরও পড়ুন: খুশি আর ঐক্যের ঈদ