চট্টগ্রাম থেকে বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র প্রতিবেদক জামাল উদ্দিন জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তবে এ হত্যার পেছনে আরও কোনও কারণ আছে কিনা তা গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে আজ রবিবার (৫ জুন) সকালে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি ট্রাফিক) মাসুদুল হাসান বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারের ওপর হামলা জঙ্গিদের কর্মকাণ্ডে নতুন মাত্রা। আমরা ধারণাও করতে পারিনি, এভাবে আমাদের পরিবারের ওপর হামলা হবে।’
এদিকে আমাদের নাটোর প্রতিনিধি জানান, খ্রিস্টান ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গোমেজ বনপাড়া খ্রিস্টানপল্লীতে বসবাস করতেন। তার বাবা মৃত জোসেফ গোমেজ।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির লাগোয়া নিজের মুদি দোকানে বসেছিলেন সুনীল গোমেজ। ওই সময় একদল দুর্বৃত্ত এসে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সী সাহাব উদ্দিন ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বাংলা ট্রিবিউনের চট্টগ্রাম ব্যুরো থেকে জানানো হয়, রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তরা মাহমুদা খানমকে হত্যা করা হয়। ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দেওয়ার জন্য তিনি জিইসি মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময়মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে পালিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমিনুল হক সরকার জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার কপালে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। গুলির ধরন দেখে মনে হচ্ছে এটি পেশাদার খুনীদেরকাজ।
পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আবু জাফর মো. উমর ফারুক বলেন, নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনে পেটে, পিঠে, হাতে, বুকে এলাপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পিবিআই এর অ্যাডিশনাল এসপি বশির আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বুলেটের খোসা ও তিনটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মোক্তার হোসেন জানান, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এ কারণে তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া বাবুল আক্তার বর্তমানে ঢাকা পুলিশ সদর দফতরে কাজ করছেন। পদোন্নতির আগে তিনি গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর-দক্ষিণ জোনের দায়িত্বেছিলেন।
আরও পড়ুন:
এ হত্যার পেছনে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এসটিএস/এপিএইচ/