চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো রাশিয়া থেকে ক্রয় করা গম ফেরত পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। নিম্নমানের কারণে সোমবার পঞ্চাশ হাজার টন গমবাহী কার্গোটি ফেরত পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। একই কারণে গত মাসে রাশিয়া থেকে আসা দুটি চালানে ১ লাখ টন গম ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বিষয়টি জানা গেছে।
খাদ্য অধিদফতরের পরিচালক (ক্রয়) ইলাহি দাদ খান জানান, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দরপত্রে উল্লিখিত নির্দিষ্ট মানদণ্ড না থাকায় ৫০ হাজার টন চালানের গম ফেরত পাঠানো হবে।
পরিচালক আরও জানান, প্রতিটন গমের মূল্য ধরা হয়েছে ২১১ দশমিক ৪৫ ডলার। এর মধ্যে জাহাজে আনা, বীমা ও খালাসের ব্যয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন:
রয়টার্সকে ইলাহি আরও জানান, পরীক্ষায় প্রতি হেক্টো লিটারে ন্যূনতম ৭৬ কেজির বিপরীতে ৭৪ দশমিক ৮ কেজি পাওয়া গেছে। এছাড়া ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রোটিনের স্থলে পাওয়া গেছে ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, রাশিয়ার শস্যের মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে এ পরীক্ষা করা হয়। গত মাসে প্রথম দুটি কার্গো ফেরত পাঠানোর পর প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে আসে। সফরের সময় বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আগের গমবাহী দুটি কার্গো বাতিল করার কথা জানায়। তবে প্রতিনিধি দলটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের বাতিল করা গমগুলো অন্য দেশের কাছে বিক্রি করেছে রাশিয়া। বিবৃতিতে দেশগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন:
ভবিষ্যতে গমের চালানের সঙ্গে শস্যের মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাঠানোর বিষয়ে একমত হয়েছে উভয় পক্ষ। এর আগে গত বছর ফ্রান্স থেকে আসা ১ লাখ ২৫ হাজার টনের এক চালান বাতিল করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত হলেও, জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চালের মতো গমেরও চাহিদা বেড়েছে। বিশ্বের সব চেয়ে বড় রাফতানিকারক দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতিবছর ৩ মিলিয়ন টন গম বাংলাদেশ আমদানি করে। রাশিয়ার গম ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান চতুর্থ। মিসর, তুরস্ক ও ইরানের পর বাংলাদেশই রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি গম ক্রয় করে থাকে। রাশিয়া জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে ৯ লাখ ৪৩ হাজার টন গম বিক্রি করেছে।
সূত্র: রয়টার্স
/ইউআর/এএ/