একদফার সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংহতি

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

একদফা দাবিতে অনশনরত খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় ঢাবি শিক্ষার্থী এবি জোবাইর ও মোসাদ্দেক ইবনে মোহাম্মদের নেতৃত্বে টিএসসিতে এ সংহতি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কিছু সময়ের জন্য শাহবাগ মোড় অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীরাও। বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশে সাবেক কুয়েট শিক্ষার্থী আকিব বলেন, আমরা আজকে শাহবাগে ৫ মিটিটের একটি প্রতীকী ব্লকেড করেছি। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আরও কঠোরতম আন্দোলন করবো। এ আন্দোলন শুধু কুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের নয়, এ আন্দোলন সবার।

কুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহি বলেন, কুয়েটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। একজন ভিসি কোন পর্যায়ে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে সরানোর জন্য অনশন করছে। নতুন বাংলাদেশে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষার্থীরা তো অনৈতিক কোনও দাবি নিয়ে আসেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জোবাইর বলেন, যদি কুয়েটের ভিসিকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে এই আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে। আজকে আমরা ৫ মিনিটের জন্য শাহবাগ অবরোধ করেছিলাম। আমরা জনদুর্ভোগ চাই না। তবে যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে দাবি মানাতে যা করতে হয়, আমরা করবো। আমি সরকারকে অনুরোধ করবো— অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে কুয়েটের দলকানা অথর্ব ভিসিকে অব্যাহতি দিন।

ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী বলেন, কুয়েটে যেভাবে দলীয়করণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটি সারা দেশের ওপর নেমে আসতে পারে। কুয়েটকে শুধু কুয়েট মনে করে ভুল করবেন না। কুয়েট একটি পদক্ষেপ মাত্র। কুয়েটে যদি দখলদাররা সফল হয়ে যায়, তাহলে দখলদাররা সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে। আমরা হুঁশিয়ারি করে বলছি, এই দখলদারিত্ব বন্ধ করুন। যারা যারা হামলায় জড়িত ছিল, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনুন। শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার করুন।

তিনি কুয়েট ভিসিকে কুলাঙ্গার মাছুদ উল্লেখ করে বলেন, মাছুদ কখনও ভালো হয় না। কুয়েট উপাচার্য মাছুদকে এখন পদত্যাগ নয় অপসারণ করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।