প্রাইভেটকারে ধাক্কার অভিযোগে ১০ বাস আটক, ছাত্রদল নেতা বললেন ‘সরিয়ে রেখেছিলাম’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতার আত্মীয়ের প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে আটকে রাখা হয় ১০টি বাস। জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের অন্তত ১০টি বাস আটকে রেখে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী। পরে ‘ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে’ মধ্যরাতে বাসগুলো ছেড়ে দেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিক থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল গেট এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে বাস আটকাতে শুরু করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা। তিনি নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪০তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী। ঘটনাস্থলে সেলিম রেজার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আরও কয়েকজন নেতাকর্মী ছিলেন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

বাস আটকের বিষয়ে সেলিম রেজা বলেন, ‘আশুলিয়ার বলীভদ্র এলাকায় বৃহস্পতিবার আমার এক আত্মীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মুরাদের প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেয় রাজধানী পরিবহনের একটি বাস। এতে প্রাইভেটকারের লুকিং গ্লাসসহ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে আমরা কয়েকজন রাজধানী পরিবহনের দুটি বাস বিশমাইল গেটে সড়কের একপাশে সরিয়ে রাখি।’

তিনি আরও জানান, ক্ষতিপূরণের জন্য বাসের লাইনম্যানকে ফোন করা হলে তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।

এ ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘কয়েকটি বাস সড়কের একপাশে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। কোনও বাস আটক করা হয়নি। পরে বাস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।’

তবে আটক এক বাসের চালক বলেন, ‘আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই চার-পাঁচ জন এসে বাস থামিয়ে চাবি নিয়ে চলে যান। এ সময় বাসগুলো রাস্তায় আড়াআড়ি করে রাখতে বলেন তারা।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘ঘটনার বিস্তারিত জেনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’