জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের হামলা ও পরে পুলিশি আক্রমণের সময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ’ হওয়ায় তৎকালীন উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামালের বিচারের দাবিতে ‘ধিক সমাবেশ’ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘মাকসুদ কামাল প্রশাসন, ধিক্কার! ধিক্কার,’ ‘নির্লজ্জ প্রশাসন, ধিক্কার! ধিক্কার!’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহেদ ইমন বলেন, গত জুলাই অভ্যুত্থানের শুরু থেকে আমাদের ওপর হামলা চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে হামলা চালানো হলেও ‘মাকসুদ কামাল প্রশাসন’ আমাদের ছাত্রলীগের হাতে তুলে দিয়েছে। এই জুলাই অভ্যুত্থানের বিপক্ষে মাকসুদ কামালের মৌন সমর্থন ছিল। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য তাকে আসামি করতে হবে। শুধু তাকেই নয়, তার প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব লোককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলেও তারা শিক্ষক হিসেবে বহাল রয়েছেন। এই খুনের সহযোগীদের অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।
শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী রুকন উদ্দিন বলেন, ১৬ জুলাই আমাদের ওপর হামলা চালানোর পর আমরা বিচার চেয়ে তার (ভিসি) কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, পরিস্থিতি তার হাতে নেই। এর মাধ্যমে মাকসুদ কামাল তার মেরুদণ্ডহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এই মাকসুদ কামালের যদি বিচার না করা হয়, তাহলে আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে। আমরা মাকসুদ কামালের বিচার দাবি করছি।