বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদ শাবিতে

কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা।

IMG_20201210_120316

মানববন্ধন শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুল গণির সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মস্তাবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও শাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভাস্কর্য আমাদের সংস্কৃতির ও এতিহ্যের অংশ। দেশের অনেক জায়গায় ভাস্কর্য আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপারেজয় বাংলাও একটি ভাস্কর্য। শুধু তাই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদে ভাস্কর্য বিষয়েও পড়ানো হয়। অথচ মীমাংসিত একটা ইস্যুকে সামনে এনে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার পাশাপাশি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চায় স্বাধীনতা বিরোধী একটি অপশক্তি।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার অপশক্তিদের প্রতিহত করতে আমাদের যা যা করতে হবে তাই আমরা করবো। প্রয়োজনে প্রতিবাদের ঝড় তোলা হবে।’

এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে মূর্তির সঙ্গে তুলনা করে ও সুকৌশলে জাতির জনকের প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে একটি গোষ্ঠী রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মামুনুল হকসহ যারা একেক সময়ে একেক কথা বলেন, তারা যাতে কোনও ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হতে পারে এজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।’

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারুক উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী। একটা বিষয় স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ১৯৭১ সালে আমাদের পূর্বসূরীরা যে যুদ্ধ করে বিজয় এনেছিলেন তা জয় বাংলার স্পিরিটে এসেছে। তাই বাংলাদেশ চলবে জয় বাংলার স্পিরিটে।’

ড. ফারুক উদ্দিন আরও বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য হতে দেয়নি স্বাধীনতা বিরোধীরা। অর্ধনির্মিত অবস্থান দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। যেহেতু হাইকোট রায় দিয়েছে সেহেতু বর্তমান উপাচার্য এর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।’

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল আওয়াল বিশ্বাস, গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট ড. আসিফ ইকবালসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।