ঈদসংখ্যা

মেঘদূতের খাতা খুলেছি ।। আনিকা ইনতিসার  

তোমাকে পেয়েছি বলে

তোমাকে পেয়েছি বলে আমি মেঘদূতের খাতা খুলেছি আড়ালে আড়ালে।
কখনো গীতবিতান থেকে পাঁচালি আমি গানে গদ্যে লিখেছি প্রেম।
আমাদের সময় অল্প তাতে সূর্য থেকে চাঁদের আলো দূরে নয়।
আমরা হেঁটেছি খেটেছি বেটেছি পয়সা কাগজ নোট
আর কেবল ভালোবাসা।
তেল পুড়িয়ে ধোঁয়া উড়িয়েছি অন্যের চোখে—হয়েছি প্রশ্ন,
আমরা উত্তর রেখেছি নদীতে বিলে মাটির রাস্তায়।
কখনো গলে পড়েছি কখনো কঠোর হয়েছি ভয়ে ভয়ে।
চোখ না বেঁধে সবার সঙ্গে কানামাছি খেলেছি
তুমি পাঁজরে আটকে গেছো যেভাবে যেখানে
প্রতি ক্ষণে ক্ষণে সেখানে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে।


নির্বিকার

তারা কেবল যায় আর আসে
তাদের কিচ্ছু যায় আসে না।
ক্রমশ ছুটে যায় বনস্পতি বাগানে
প্রতিষেধক তাদেরকে বয়কট করেছে।
কেন নিরাময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
খুব ভোরের রোদ তাদের ছোঁবে না
কোনো গঙ্গাজল তাদের ধোবে না।
তারা যেমন তেমন পাওয়ার আশায়
বৃষ্টিতে ভিজে না মৃদঙ্গে বাজে না।
হাহাকার অর্কেস্ট্রায় কেবলই শব্দদূষণ
তাদেরকে কে চায় বড্ড জোর করা না হলে।
ওই দূর গাছের চূড়ায় যে পাখির বাসা
তাদেরও স্বপ্ন আছে, তারা ঘর বাঁধে সংগ্রামে।
রাজপথে কিচিরমিচির করে তারাও
মিছিল দেখলে তারা অলিতে গলিতে লুকোয় না।
ধর্ষণ কিংবা খুন তারা শুধু শিরোনামটাই পড়ে
শিহরিত হয় না।
একটা গুলি আওয়াজ করে ওঠে
রক্তাক্ত পুরুষ পাখিটি ছটফট করে,
নারী পাখিটি সন্ধ্যায় ঘরে ফিরবে
তার কেবল বুলেটের শব্দে আনন্দ পায়
তাদের কিচ্ছু যায় আসে না।