বৃষ্টির নীড়
শহরময় চালাক লোকের ভিড়
আমি দুপুরের রোদে ঘুমিয়ে পড়ি মাঠে
চালাক লোকেরা ছুটছে মেট্রো-রেলে
আমার স্বপ্নজুড়ে হাঁটে বৃষ্টির নীড়।
চালাক হওয়ার বাসনা সবারই আছে
আমারই কেবল বোকামিতে সুখী মন
আলস্যবিহার আমারই কেবল সাজে
তোমাদের ভাতে কতশত বিভাজন।
বেদনার সুখ গাভীর স্বচ্ছ চোখে
অলকার বিলে মাছ ধরাতেও শান্তি
মানুষের ঘুমে সরলতা নাকি লুপ্ত
যুদ্ধের সাজে সঙ্গিন আজ পৃথিবী।
নাক্ষত্রিক সুর
বান্ধবী, তোমাকে শেখাব জ্যোতির্বিদ্যা
তোমাকে শোনাব কুয়ার জলে আটকে পড়া
নাক্ষত্রিক সুর।
বান্ধবী, এই তুমি বিশল্যকরণী, বোঝ কি
প্রেমিক মনের মাজেজা?
তোমাকে জানাব, কেমন করে আকাশ
সমুদ্রকে দেয় বৃষ্টির চিঠি
সে চিঠির বৃত্তান্ত তুমি জানবে।
জ্যোতির্বিদ্যা জানলে
আমাদের বড় বড় ভুলচুকও
উপাদেয় মনে হয়
মনে হয় এইসব মরা ঘাসের মাঠে
আমরা শুয়ে পড়ি
আর খুঁজতে থাকি পরস্পরের
চোখের পুকুরে
দিনাবশেষের ছায়া।
আমাদের মন
পাহাড়ে আমার বন্ধু থাকে।
পাহাড়ে তার কুটির রয়েছে
আদিপিতার হাড়ে সাজানো।
বুক পকেটে সেঁকো বিষ নিয়ে সে
বসে থাকে গলাধঃকরণ করবার
সুবর্ণ সুযোগের অপেক্ষায়।
আমার বন্ধুটি মরে গেলে
চুপ করে থাকব
প্লুং বাঁশিতে সুর তুলে মসৃণ হাতে
রক্তের দাগ মুছে ফেলব;
আর প্রদর্শন করব আমাদের মন—
আরামকেদারার গদির মতো আমাদের
কোমল মন।