গরম গরম পোড়া ভুট্টায় লবণ ও মরিচ মিশিয়ে কামড় দিতে কে না ভালোবাসে? কেবল খেতেই সুস্বাদু নয় এটি, নানা ধরনের পুষ্টিগুণেও ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম ভুট্টায় ৯৬ ক্যালোরি, ৭৩ শতাংশ পানি, ৩.৪ গ্রাম প্রোটিন, ২১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪.৫ গ্রাম চিনি, ২.৪ গ্রাম ফাইবার ও ১.৫ গ্রামের কম চর্বি থাকে। এছাড়া ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাংগানিজ মেলে এতে। জেনে নিন ভুট্টার উপকারিতা কী কী।
- ভুট্টায় ফাইবার আছে, যা আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দূরে রাখে। এতে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে।
- ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ বা আয়রন যা রক্তের লোহিত কণার প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে। ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
- শর্করার মাত্রা বেশি থাকায় ভুট্টা দেহে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
- ভুট্টায় রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
- ভিটামিন এ এবং সি মেলে ভুট্টা থেকে। ত্বকের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই দুই ভিটামিন।
- খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে ভুট্টা।
- মিষ্টি ভুট্টা বা ‘সুইট কর্ন’ আঁশজাতীয় শস্য। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেটের যৌগ। ফলে এটি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
- ক্যারোটিনয়েড লুটিন এবং জেক্সানথিনের একটি ভালো উৎস ভুট্টা। দৃষ্টিশক্তি প্রখর করার পাশাপাশি ছানি পড়া রোধ করে এই দুই উপাদান।
- রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে ভুট্টা। এতে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল শরীরে ইন্সুলিনের শোষণ ও নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে।
- একটি ভুট্টা শরীরে এক টন বিটা ক্যরোটিন সরবারহ করে যা চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
- ভুট্টার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ক্যানসার এবং হৃদরোগের মতো রোগ থেকে রক্ষা করে।
- ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজগুলোর সাথে ভুট্টায় ভিটামিন বি, ই এবং কে মেলে। এসব উপাদান আমাদের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
সতর্কতা
ভুট্টার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও কিন্তু রয়েছে। যেমন ‘ইনজেস্টিবল প্রোটিন’ থাকায় ভুট্টা থেকে অনেক সময় অ্যালার্জি হতে পারে। বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কাঁচা ভুট্টা খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। অতিরিক্ত ভুট্টা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ভুট্টা আলুর মতো একটি স্টার্চি সবজি। এর মানে এতে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে বেশ ভালো পরিমাণে। অতিরিক্ত খেলে তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
তথ্য: ওয়েবএমডি ও হেলথলাইন