সিলেটের সীমান্তবর্তী একটি নদের নাম ধলাই। এখানে পাহাড় আর নদের সম্মিলন। ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা নদটি এপারে মুগ্ধতা ছড়ায়। এখানে পাহাড়গুলো দুদেশের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ধলাই নদের উৎসমুখে প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সাদা সাদা পাথর। দলে দলে পর্যটক ভিড় করছেন সবুজের মেলা আর পাথুরে নদীর শীতল জলে শরীর ডুবিয়ে রাখার লোভে।
সিলেট শহর থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার পথ। মসৃণ পথের দুপাশে চা বাগান পার হলে ফসলি মাঠ আর বিস্তীর্ণ প্রান্তর। কাছাকাছি যেতে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয় মেঘের আড়ালে থাকা সবুজে মোড়া পাহাড়।
ট্রলার যত সামনে এগোয়, মুগ্ধতা ততই বাড়তে থাকে। ধলাই নদের পানি এমনিতেস্বচ্ছ নীল, বর্ষাকালে ওপারের ঢলে পানি ঘোলাটে হয়। নৌকা চলতে চলতে চোখে পড়ে মেঘালয়ের আকাশছোঁয়া পাহাড়।
পনেরো মিনিট পরেই ট্রলার থামে সাদা পাথরের দ্বীপে। সাদা পাথরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা ঝরনার শব্দ, পানির তীব্র স্রোত আর ওপারের সবুজ পাহাড় নয়নজুড়িয়ে দেয়। শীতল জলের স্পর্শে প্রাণ জুড়াবে নিমিষে।
এখানে ছোট ছোট সাত-আটটা দোকান বসে রোজ। সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা। চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের নানা খেলনা, স্যান্ডেল, গোসলের সামগ্রী বিক্রি হয়। এর যাবতীয় ময়লা, বাদামের খোসা যেখানে-সেখানে ছড়ানো। দিন শেষে সেসব এক জায়গায় করার চেষ্টা করেও লাভ হয় না। এখানে পর্যটকদেরকে ঘিরে ৪৪ জন ফটোগ্রাফার কাজ করেন। প্রতিটা ছবি ৫ টাকার বিনিময়ে তুলে মোবাইলে ট্রান্সফার করে দেন তারা।