আনারস খেলে এত উপকার পাওয়া যায় জানতেন?

আনারস ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ। এতে থাকা ব্রোমেলেন নামক একটি এনজাইমকে বলা হয় জাদুকরী উপাদান। মিষ্টি ও রসালো ফল আনারস ভিটামিন সি এর দুর্দান্ত উৎস। এছাড়াও এতে মেলে পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ, আয়রন, ভিটামিন বি ৬, ফাইবারসহ আরও অনেক উপাদান। নিয়মিত আনারস খেলে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদার অনেকটুকুই পূরণ করা সম্ভব। জেনে নিন আনারস খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে। 

  1. প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস আনারস। বিশেষ করে ফ্ল্যাভোনয়েড পাওয়া যায় এতে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামে পরিচিত। নিয়মিত আনারস খেলে ক্যানসারসহ কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে। 
  2. পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার মেলে আনারস থেকে। ফাইবার আমাদের অন্ত্রে থাকা উপকারী জীবাণু সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্য এবং স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে।
  3. ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে আনারসে। নিউট্রিশন অ্যান্ড মেটাবলিজম-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, নিয়মিত আনারস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ। তাই আনারস খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। 
  4. আনারস খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন  তৈরি হয়, যা কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  5. আনারসে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এতে ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। জার্নাল অব নিউট্রিশন অ্যান্ড মেটাবলিজমে শিশুদের উপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রতিদিন আনারস খায় তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
  6. আনারসে ব্রোমেলেন নামে পরিচিত একটি এনজাইম থাকে। এটি খাবারের প্রোটিনগুলোকে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং পেপটাইডের ছোট বিল্ডিং ব্লকে ভেঙে দেয়। ফলে খাবার হজম হয় দ্রুত। 
  7. ১৯৬০-এর দশকের অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে যে, আর্থ্রাইটিসের সাথে সম্পর্কিত প্রদাহজনিত ব্যথা উপশমে ব্রোমেলেন কার্যকর। 
  8. কারেন্ট আলঝেইমার রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায বলছেম আনারস আলঝেইমার রোগ প্রতিরধে সাহায্য করে। 
  9. আনারসের ভিটামিন সি ত্বকের অকাল বার্ধক্য রুখে দিতে পারে। নিয়মিত আনারস খেলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না। এছাআ ভিটামিন সি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। 
  10. প্রাণী গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্রোমেলেন রক্ত ​​জমাট বাঁধার জন্য জড়িত ফাইব্রিন নামক একটি প্রোটিনের উৎপাদনকে বাধা দেয়। এতে রক্ত ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, হেলথলাইন, রিডার্স ডাইজেস্ট এবং ওয়েবএমডি