লম্বা চুল চাইলে এই ৫ হোম রেমেডির সাহায্য নিতে পারেন

লম্বা চুল ভালোবাসেন অনেকেই। কিন্তু নানা কারণে দেখা যায় চুল যেন সহজে বাড়ছেই না। যদিও জেনেটিক্স, ডায়েট এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবুও প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকারগুলোকেও কিন্তু এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। 

  1. লম্বা চুল চাইবেন আর তেল দেবেন না, তা কি হয়? নারকেল তেল চুলের যত্নে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এটি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, প্রোটিনের ক্ষয় কমায় এবং চুলের গভীরে প্রবেশ করে। নিয়মিত মাথার ত্বকের ম্যাসাজ করলে চুল দ্রুত বাড়ে। কয়েক টেবিল চামচ ভার্জিন নারকেল তেল গরম করে বৃত্তাকার গতিতে মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  2. লম্বা ও ঝলমলে চুল চাইলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এর প্রাকৃতিক এনজাইম মৃত ত্বকের কোষ অপসারণ করে এবং চুলের ফলিকলগুলোকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। এতে চুল সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়। একটি পাতা থেকে তাজা অ্যালোভেরা জেল বের করে সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান। ৩০-৪৫ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 
  3. সালফার সমৃদ্ধ পেঁয়াজের রস চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। মাথার ত্বকে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে, চুলের গোড়া পুনরুজ্জীবিত করতে এবং চুল পাতলা হওয়া কমাতে সাহায্য করে এটি। একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ কুঁচি করে রস ছেঁকে নিন। তুলার বল বা স্প্রে বোতল ব্যবহার করে সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান। ২০-৩০ মিনিটের জন্য রেখে এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 
  4. মেথি বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড থাকে, যা চুলের সুস্থ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এসব উপাদান খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং নিস্তেজ চুলে উজ্জ্বলতা জোগাতেও সাহায্য করে। মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন পেস্ট করে চুলে লাগান। ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। 
  5. চুল মূলত প্রোটিন দিয়ে তৈরি, তাই প্রোটিন এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ ডিম চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে পারে। ডিমের হেয়ার মাস্ক চুলের ভলিউম বৃদ্ধি করতে ও চুলের ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। ডিম ফেটিয়ে অলিভ অয়েল বা দই মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। এই মাস্ক চুলে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন শাওয়ার ক্যাপ পরে। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে নিন শ্যাম্পু দিয়ে।