আজ বৈশাখের দিন কোথায় কী আয়োজন

আজ নববর্ষের দিন নানা আয়োজন থাকছে শহরজুড়ে। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নতুন পোশাক পরে বের হয়ে ঢুঁ মারতে পারেন মেলাসহ রঙিন আয়োজনগুলোতে। জেনে নিন কিছু খোঁজখবর। 

১। যাত্রা ও যাত্রা বিরতিতে থাকছে দুই দিনব্যাপী বর্ষবরণের আয়োজন। থাকছে ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচ, বায়োস্কোপ, ভাগ্য গণনা, বাউলগানসহ লোকজ মেলা। ১৪ ও ১৫ এপ্রিল, সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই উৎসবে সন্ধ্যাবেলা থাকবে জনপ্রিয় সংগীত দল ও শিল্পীদের পরিবেশনা।

২। পহেলা বৈশাখে সকাল ৬টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার আয়োজনে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া মুক্তমঞ্চে হবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আশপাশে পাবেন বাহারি বাঙালি খাবার।

৩। ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে অতিথিদের জন্য থাকবে বাঙালি খাবারের সমারোহ। সঙ্গে আরও থাকছে বৈশাখী উৎসব ও মেলা। পয়লা বৈশাখে সকাল ১০টা থেকে শিশুদের জন্য নানা আয়োজনে থাকছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ফেস পেইন্ট ও বাউলগানের আসর।

৪। ধানমন্ডি সাত নাম্বারের অর্চাড পয়েন্ট সংলগ্ন হাটকাহনে একই সঙ্গে বিভিন্ন পণ্য কেনার সুযোগ থাকে। পোশাক, গয়না, টিপ, চুড়ি কিনতে গিয়ে মিষ্টিমুখ করে আসতে পারবেন এখানে। বৈশাখ উপলক্ষে অতিথিদের জন্য নানা ধরনের আয়োজন থাকছে হাটকাহনে। 

৫। নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তায় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ‘ড্রোন-শো’ ও ‘ব্যান্ড-শো’ আয়োজিত হবে।

ছবি- হাটকাহন

৬। রাজধানীর গুলশান-২-এর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১৩, ১৪ ও ১৫ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আজ সকাল ৭টায় শান্ত–মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়েছে। থাকবে বারামখানা ও পল্লীবাংলার অংশগ্রহণে শুরু হবে বাউল গান। বিকেল ৪টায় ঘাসফড়িং কয়ার, শিরোনামহীন এবং প্লাজমিক নকের অংশগ্রহণে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

৭। বৈশাখী মেলা ও উৎসব আয়োজন করেছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল। আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই মেলা। বায়স্কোপ, হাওয়াই মিঠাই, চুড়ির মেলা, ফুল, দেশী বিদেশী ফ্যাশন ব্র্যান্ড- বিটু, ইনফিনিটি মেগা মল, শিশু পরিবহন, লাইভ শপিং, ভোগ বাই প্রিন্স এবং স্প্লাশ। এছাড়াও বৈশাখী ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রথমবার বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। লেভেল-৮ এর চড়ুই ভাতির আড্ডা, পিঠেপুলির আসর ও শরবতের হাঁড়ি ফুড স্টলে পাওয়া যাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ খিচুরি, রূপচাঁদা ফ্রাই, বগুড়ার দই, চার রকমের ভর্তা, ডাবের পুডিং, চার প্রকার পিঠা-পাটিসাপটা, নলডা, মালমোয়া, নিমকি, চিনি ও গুড়ের মুড়ালি, কদমা/তিলা, চিনির হাতি ঘোড়া, মুড়ির মোয়া, নাড়ু, জুস, কুষ্টিয়ার কুলফি, হাওয়াই মিঠাই, ঢোল ও ঢুলির সাথে ক্লাসিক্যাল ফ্ল্যাশ মব। কেনাকাটা, থিম পার্কে সময় কাটানো কিংবা মুভি দেখার পাশাপাশি চলবে বৈশাখী উৎসবের বর্ণিল আয়োজন।

৮। এছাড়া গুলশান শাহবুদ্দিন পার্ক, উত্তরার দিয়াবাড়ি, সুত্রাপুরের ধূপখোলা মাঠ, ওয়ারীর টিপু সুলতান রোড, ৩০০ ফিটসহ নানা জায়গায় হচ্ছে বৈশাখী মেলা।