বৈশাখের ছোঁয়া কি কেবল পোশাকে আর খাবার টেবিলেই লাগবে? উদযাপনে পরিপূর্ণতা আনতে গৃহকোণেও নিয়ে আসা চাই বৈশাখের আমেজ। সেজন্য যে ঘরে খুব বেশি অদল-বদল করতে হবে এমন নয়। বাঙালিয়ানায় ঘর সাজাতে টুকটাক কিছু কেনাকাটা আর পরিবর্তনই যথেষ্ট।
ঘরকে দেশীয় তৈজসপত্র দিয়ে সাজিয়ে বৈশাখের আবহ নিয়ে আসতে পারেন। দোয়েল চত্বর কিংবা আড়ং গেলেই পেয়ে যাবেন নানা ধরনের টুকটাক ঘর সাজানোর দেশীয় জিনিস। চারুকলায় মিলবে হাতে তৈরি নানা ধরনের মুখোশ। এগুলো ঘরে নিয়ে আসলেই পাল্টে যাবে ঘরের চেহারা। একতারা, কুলা বা হাত পাখা থাকতে পারে ঘরের সাজে। আবার শীতল পাটি বা শতরঞ্জিও ঘরে দেশীয় আমেজ যোগ করবে।
বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম আনন্দ মজার মজার ভর্তা, ইলিশ ও দেশীয় নানা আইটেম। এগুলো পরিবেশনেও তাই থাকা চাই দেশীয় আমেজ। বাঁশের কিংবা বেতের টেবিল রানার ব্যবহার করতে পারেন ডাইনিং টেবিলে। এদিন মাটির তৈজসেই পরিবেশন করুন খাবার। বেশ একটা বৈশাখী আমেজ চলে আসবে। টেবিলে রাখুন নজরকাড়া একটি মোমদানি ও মোম। সাথে থাকতে পারে মানানসই কোনও ইনডোর প্ল্যান্টও। বাঁশ বা বেতের তৈরি ট্রেতে কিছু ফল সাজিয়ে রেখে দিন টেবিলে।
ঘরে ব্যবহার করতে পারেন বাঁশ বা বেতের পার্টিশন। রঙিন কাগজের কিংবা কাপড়ের দেয়ালও বেশ ভালো লাগে দেখতে। কাঠের উপর নিখুঁত কারুকাজ করা নজরকাড়া পার্টিশন অন্দরে নিয়ে আসবে শৈল্পিক ছোঁয়া।
বৈশাখ উপলক্ষে পুরনো কোনও রঙিন শাড়ি দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় পর্দাও। ব্লক করা রঙিন কুশন কভার ব্যবহার করুন। বসার ঘরের এক কোনে কাচের বাটিতে পানির উপরে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে ভাসিয়ে দিতে পারেন ছোট ছোট মোম। বেশ একটা উৎসবের আনন্দ চলে আসবে। দরজার সামনে ঝুলিয়ে দিতে পারেন উইন্ডচাইম বা পাটের তৈরি পেঁচা। ঘরে ঢুকতেই প্রশংসা করবেন অতিথিরা।