শেভিংয়ের পর অনেকেরই নানা ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় ত্বকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে র্যাশ। লালচে ভাব, চুলকানি, জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকে দিনজুড়েই। কিন্তু তাই বলে দাড়ি না কেটেই বা কয়দিন থাকা যায়? র্যাশ থেকে বাঁচার কিছু টিপস জেনে নিন।
- শেভিংয়ের সময় তাড়াহুড়া করবেন না। দাড়ি কাটার সময় ত্বক যেন নরম ও আর্দ্র থাকে সেজন্য ব্যবহার করুন ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার। দাড়ি কাটার অন্তত ঘণ্টা ছয়েক আগে ভালোভাবে ময়শ্চারাইজার মাখুন।
- দাড়ি যে দিকে বাড়ছে, তার উল্টো দিকে রেজার চালাবেন না। তাতে ত্বকের উপর বেশি চাপ পড়ে। জ্বালাও করে বেশি।
- দাড়ি খুব বড় হয়ে গেলে প্রথমেই রেজার চালাবেন না। বরং প্রথমে কাঁচি দিয়ে কিছুটা ট্রিম করে নিন। এতে বারবার এক জায়গায় ব্লেড চালাতে হবে না। ত্বকের উপর কম চাপ পড়বে।
- ঘন শেভিং ক্রিম ব্যবহার করুন। এমন কিছু ব্যবহার করবেন যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে শেভিং ফোমও ব্যবহার করতে পারেন। শেভিং ফোম ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।
- শেভিংয়ের পর অ্যালোভেরা জেল ত্বকে লাগিয়ে নিন। তারপর কিছুক্ষণ রেখে ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে জ্বালা দূর হবে। র্যাশও বের হবে না। চাইলে অ্যালোভেরার বদলে অ্যাভোকাডো তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
- শেভ করার পরপরই ত্বকে জ্বালাপোড়া শুরু হলে পানির সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে লাগালে উপকার পাবেন।
- শেষে ভালো করে বরফ ঘষে নিন ত্বকে।
- তবে কয়েকদিনের মধ্যে ফুসকুড়ি বা র্যাশ ভালো না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।