ওটস খেতে পারেন এই ৪ উপায়ে

কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, জিঙ্ক, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ম্যাংগানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, ফলেট, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬ মেলে ওটমিল থেকে। ওজন কমাতে চাইলে বা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাইলে সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন ওটসের পদ। ওট খেতে পারেন দুধ, ফল ও বাদাম মিশিয়ে। আবার খিচুড়ি বা কাটলেট বানিয়েও খাওয়া যায় উপকারী ওট। জেনে নিন ওটস কোন কোন উপায়ে খেতে পারেন।

১। সকালের নাস্তায় ওটস খেতে চাইলে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন দুধ দিয়ে। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ১ চামচ চিয়া সিড। পরদিন সকালে পছন্দের ফল, বাদাম ও মধু মিশিয়ে খান স্বাস্থ্যকর ওটস।

২। ওটস দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন মজাদার কাটলেট। এজন্য লাগবে এক কাপ সেদ্ধ আলু এবং ১ কাপ ভেজে নেওয়া ওট। একটি বড় বাটিতে ওট, আলু, ১ চা চামচ আদা বাটা, মরিচ বাটা, গাজর কুচি, লবণ এবং গরম মসলার গুঁড়া নিন। আধা কাপ পনির কুচি করে দিয়ে সব উপকরণ মেশান। ডো থেকে ছোট ছোট করে লেচি কেটে হাতের তালুর সাহায্যে বল তৈরি করে চাপ দিয়ে চ্যাপ্টা করে নিন কাটলেটের আকারে। প্যানে তেল গরম করে কাটলেটগুলোর দুইদিক ভেজে নিন। বাদামি রঙ ধারণ করলে নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।

৩। বানিয়ে ফেলতে পারেন ওটস ব্রেড টোস্ট। ৪ টেবিল চামচ ময়দার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, চিনি ও পানি মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পাউরুটির চারপাশের অংশ বাদ দিয়ে গোল অথবা তিন কোনা আকারে কাটুন। এবার টুকরাগুলো ময়দার মিশ্রণে ডুবিয়ে ওটসে গড়িয়ে নিন। যাতে প্রতিটি টুকরার চারপাশে ওটস জড়িয়ে যায়। এবার গরম তেলে দুই পাশ বাদামি করে ভেজে নিন।

ওটস খেতে পারেন পছন্দের ফল মিশিয়ে। ছবি- সংগৃহীত


৪। ওটস দিয়ে স্বাস্থ্যকর খিচুড়ি বানিয়ে ফেলতে পারেন। তেল বা বাটার গরম করে মিহি করে কুচানো ১/৪ চা চামচ আদা কুচি ও কাঁচা মরিচ ভেজে নিন। ১ চা চামচ আস্ত জিরা দিয়ে নেড়ে নিন। পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও স্বাদ মতো মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভেজে নিন। কয়েক সেকেন্ড ভেজে নেওয়ার পর টমেটো কুচি ও লবণ দিন। এরপর ক্যাপসিকাম ও মটরশুঁটি দিন। চাইলে অন্যান্য সবজিও যোগ করতে পারেন। ১/৩ কাপ ওটস দিয়ে নেড়ে নিন মসলার সঙ্গে। ১ কাপ পানি দিন। সঙ্গে দিয়ে দিন ১ প্যাকেট ম্যাগি মসলা। এতে বাড়বে খিচুড়ির স্বাদ। সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ঢেকে দিন ঢাকনা দিয়ে। সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নেবেন।