কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ৭ প্রাকৃতিক উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য বিশ্বব্যাপী ২.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন! এমনটা বলছে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক সেন্টার ফর হিউম্যান নিউট্রিশনের ডায়েটিশিয়ান কেন্দ্র উইকলি এবং গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. সমিতা গর্গ জানান, কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও পানীয় রয়েছে যেগুলো দ্রুত মলত্যাগে সাহায্য করে আমাদের। পাশাপাশি জরুরি নিয়মিত ব্যায়াম ও ঘুমও। 

 

  1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে চমৎকার কাজ করে মৌরির বীজ। গবেষণা বলছে, মৌরিতে থাকা কিছু যৌগ হজমে সাহায্য করে, পেটের অস্বস্তি কমায় এবং সহজে মলত্যাগে সাহায্য করে। মৌরির বীজ খাবারের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বা চায়ে যোগ করতে পারেন।
  2. ব্যায়াম পেটের পেশী এবং অন্ত্রে রক্ত ​​​​প্রবাহকে উদ্দীপিত করে। এতে মলত্যাগ সহজ হয়। খুব ভারী ব্যায়াম করতে হবে এমন নয়। দিনে নির্দিষ্ট সময় হাঁটলেও পাবেন উপকার। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা জরুরি।
  3. ইসবগুলের ভুষি উপশম করতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। শুরুতে কম করে খান এটি। প্রয়োজন অনুসারে ধীরে ধীরে বাড়ান। এক চা চামচ দিয়ে শুরু করুন, ধীরে ধীরে দিনে তিনবার এক টেবিল চামচ পর্যন্ত খেতে পারেন। তবে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার সময় পানি বেশি খেতে হবে। 
  4. নিয়মিত মলত্যাগের জন্য খাদ্য তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে বিভিন্ন ধরনের ডাল। মসুর ডাল, ছোলার ডাল খেতে পারেন নিয়মিত। এগুলোতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। তবে ডাল খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা জরুরি। কারণ কিছু ডাল হজম হওয়ার সময় গ্যাস তৈরি করে। তাই দিনে দেড় কাপের বেশি ডাল না খাওয়াই ভালো। 
  5. গমের তুষ খেলে উপকার পাবেন। খাবারটি অন্ত্রে পানি এবং শ্লেষ্মা নিঃসরণ বাড়াতে পারে, যা মলকে নরম করে। 
  6. খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কিউই ফল। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিউইতে রয়েছে ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন ই এবং ফোলেট। প্রতিদিন দুটি কিউই ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে অনেকটাই। 
  7. তিসির বীজ খেতে পারেন নিয়মিত। স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে এতে যা এর প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবারের ভালো উৎস এই বীজ। প্রতিদিন এক থেকে দুই টেবিল চামচ খাওয়া খেতে পারে তিসির বীজ। 

তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট