রান্নার পাশাপাশি হলুদ কাজে লাগাতে পারেন এসব উপায়ে

রান্নায় চমৎকার রঙ ও স্বাদ যোগ করে হলুদ। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই মসলার। ফলে ক্যানসারসহ নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে হলুদ। শুধু রান্নায় নয়, আরও নানা কাজে ব্যবহার করতে পারেন উপকারী হলুদ। 

 

প্রদাহ বিরোধী প্রতিকার
হলুদে থাকা কারকিউমিন নামের একটি যৌগ বিভিন্ন উপায়ে প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। জয়েন্টের ব্যথা নিরাময়, পেটের ব্যথা বা অস্বস্তি কমানো থেকে শুরু করে যে কোনও ধরনের বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ প্রদাহ সারাতে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে হলুদ। এক গ্লাস উষ্ণ দুধ বা পানিতে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে এক চিমটি কালো গোলমরিচ, মধু এবং আদা মিশিয়ে পান করুন।

ত্বক উজ্জ্বল করে 
যুগ যুগ ধরে ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয় আসছে হলুদ। হলুদ দিয়ে তৈরি প্যাক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে ত্বক। ত্বকের অ্যালার্জি নিরাময়েও সাহায্য করে এটি। চালের আটা, দই এবং মধুর সাথে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকে মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট ইপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।

প্রাকৃতিকভাবে সাদা করে দাঁত
মাড়ির প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে হলুদ। এর ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য প্রাকৃতিকভাবে দাঁত সাদা করে। নারকেল তেলের সাথে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং এটি দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। ৫ মিনিট অপেক্ষা করে নিয়মিত পেস্ট ব্যবহার করে ব্রাশ করুন।

গৃহস্থালি পরিচ্ছন্নতায় 
হলুদের চমৎকার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। কীটপতঙ্গ এবং সংক্রামকদের দূরে রাখতে সাহায্য করে এই মসলা। বেকিং সোডা, লেবু, ভিনেগার এবং পানি সাথে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। রান্নাঘর এবং বাথরুমের উপরিভাগ পরিষ্কার করতে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে। 

চুল রাঙাতে 
প্রাকৃতিক চুলের রঞ্জক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন হলুদ। হলুদ ব্যবহার করলে সূক্ষ্ম সোনালী আভা আসবে চুলে। নারকেল তেল বা দইয়ের মতো কন্ডিশনার উপাদানের সাথে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে চুলে লাগান। ধুয়ে ফেলার আগে এটি ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। হালকা রঙের চুলে একটি অস্থায়ী সোনালি আভা যোগ করতে পারে এই পদ্ধতি। তবে গাঢ় কালো চুলে এটি কাজ করবে না।