সকালের নাস্তায় বা বিকেলের খাবারে স্বাস্থ্যকর বাদাম রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। বিভিন্ন বাদামের মধ্যে অত্যন্ত উপকারী এই বাদাম হচ্ছে আখরোট। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে আমাদের স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করতে ভূমিকা রয়েছে এই বাদামের। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং আয়রন রয়েছে। সঠিকভাবে খাওয়া হলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ ও ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।
কীভাবে আখরোট খেলে মিলবে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ?
আখরোট খাওয়ার আদর্শ উপায় হচ্ছে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন খাওয়া। রাতে ঘুমানোর আগে ৩/৪ টুকরা আখরোট এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালের নাস্তায় খোসা ছাড়িয়ে খান আখরোট। ভিজিয়ে রাখা আখরোট ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি হজম করাও সহজ। আখরোট ভেজানো হলে শরীর আরও সহজে পুষ্টি শোষণ করতে পারে।
আখরোট খাওয়ার উপকারিতা
- শরীরের জন্য উপকারী ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে আখরোটে। সেই সঙ্গে উচ্চ পরিমাণে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ মাত্রার উপকারী ফ্যাটের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন ই, ফোলেট এবং প্রতিরক্ষামূলক ফাইটোকেমিক্যাল পাওয়া যায় আখরোটে। এসব উপাদান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- আখরোটে আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড নামক ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই উপকারী ফ্যাট দৈনন্দিন পরিমিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। আখরোট কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং ধমনী পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। আখরোট ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও কমায়। এটি এক ধরনের চর্বি যা হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণ।
- আখরোটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে বেশি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। ফলে নিয়মিত আখরোট খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে
- আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। উপকারী এই বাদাম ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে। ফলে বাড়তি মেদ থেকে দূরে থাকা যায়। তবে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে আখরোট ও অন্যান্য বাদাম।
- আখরোট খেলে আমাদের অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী জীবাণুর সংখ্যা বাড়ে। এতে খাবার সহজে হজম হয় ও আমাদের অন্ত্র ভালো থাকে।
- নিয়মিত আখরোট খেলে শরীর তো ভালো থাকবেই, ত্বকও থাকবে টানটান। উপকারী এই বাদামে থাকা তেল, ভিটামিন এবং মিনারেল বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীরে করে দিতে পারে।
তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া