গুজরাটি ঐতিহ্যে রাধিকার বিয়ের সাজ, পরেছিলেন মা-নানির গয়না

বিয়ের সাজে রাধিকা মার্চেন্ট। ছবি- সংগৃহীত

অবশেষে অনন্ত-রাধিকার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো গতকাল ১২ জুলাই। প্রায় অর্ধবছর ধরে চলতে থাকা আয়োজন পূর্ণতা পেলো। বিয়ের দিন বধূবেশে রাধিকাকে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন অনেকেই। 

গুজরাটি লেহেঙ্গা পরেছিলেন রাধিকা। ছবি- সংগৃহীত

ফ্যাশন ডিজাইনার আবু জানি সন্দীপ খোসলার ডিজাইন করা ঐতিহ্যবাহী গুজরাটি লেহেঙ্গা পরেছিলেন রাধিকা মার্চেন্ট। গুজরাটি কনেরা সাধারণত বিয়ের সময়ে লাল-সাদা পোশাকে সাজেন, সেই ভাবনাকেই নতুন করে সাজিয়েছিলেন আবু জানি-সন্দীপ খোসলা। সূক্ষ্ম আইভরি জারদোজি পোশাকটিতে ছিল আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যের চমৎকার মিশেল। চোখ ধাঁধানো লেহেঙ্গাটিতে স্টোন, সিকুইন, টাম্বা টিক্কি এবং লাল রেশমের কারুকার্য করা হয়েছিল। জরদৌসি এমব্রয়ডারিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ফ্লোরাল বুটি। নজর কেড়েছিল লেহেঙ্গাটির নাটকীয় ঘের। 

মা, বোন ও নানির গয়নায় সেজেছিলেন বধূবেশে। ছবি- সংগৃহীত

মাথার ওড়নাটি ৮০ ইঞ্চি লম্বা ট্রেইলে সুবিন্যস্ত ছিল। এর সঙ্গে আলাদা করে একটা এমব্রয়ডারি করা লাল ওড়না হাতের একপাশ দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল চমৎকারভাবে। সবমিলিয়র যেন রূপকথার রাজকন্যার মতোই লাগছিল তাকে।

রাধিকা মার্চেন্টকে লেহেঙ্গা ড্রেপ করেছিলেন বিখ্যাত ড্রেপিং আর্টিস্ট ডলি জৈন, ব্রাইডাল লুকটি স্টাইল করেছিলেন রিয়া কাপুর। তাকে সহযোগিতা করেছিলেন শিরিন এবং সানায়া কাপুর। 

রূপকথার রাজকন্যার মতোই দেখাচ্ছিল রাধিকাকে। ছবি- সংগৃহীত

গলায় জোড়োয়ার চোকার এবং হীরা-পান্নার মিশেলে তৈরি পাঁচ লহরি হার পরেছিলেন রাধিকা। সঙ্গে ম্যাচিং টিকলি, কানের ঝুমক্যা ও রতনচুর পরেছিলেন। ছিল সাদা লাল এবং হীরার চুরি। আরও পরেছিলেন পান্না এবং হীরা দিয়ে তৈরি বাজু। সঙ্গে কনুই পর্যন্ত মেহেদি পরেছিলেন রাধিকা। গয়নাগুলো কোনোটাই নতুন ছিল না। রাধিকা পারিবারিক রীতি ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করতে মা-বোন ও নানির বিয়ের গয়নায় সেজেছিলেন এদিন।