‘আমার স্বামীর যৌন চাহিদা অনেক বেশি’

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৪ বছর। আমার স্বামীর যৌন চাহিদা অনেক বেশি। প্রায় প্রতিদিনই তার যৌন সম্পর্ক করা চাই। আমাদের বিয়ের বয়স ৭ বছর। আমি হাঁপিয়ে উঠেছি। আমার নিষেধ শোনে না। কিছু বললে বলে বউয়ের সাথেই তো করছে, অন্য মেয়ের সাথে তো না। বউয়ের সাথে করতে না পারলে বিয়ে কেন করেছে? এটা কি কোনও ধরনের অসুস্থতা? এটা থেকে কীভাবে পরিত্রাণ মিলবে?

উত্তর: বিয়ে করার পর যৌন সম্পর্ক একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম এবং সম্পর্কের মূলভিত্তি। যৌন চাহিদা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ভিন্ন হয় এবং এটি স্বাভাবিক। সুতরাং, আপনার সাথে আপনার স্বামীর প্রতিদিন যৌন সম্পর্ক করতে চাওয়াটা কোনও ধরনের অসুস্থতা নয়। যৌন মিলনের পর পুরুষের তুলনায় নারীদের অনেক কম অর্গাজম হয়। কারণ নারীদের অর্গাজমের জন্য ভগাঙ্কুর বা ক্লাইটোরিস উদ্দীপনার প্রয়োজন হয়। এই উদ্দীপনা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ার কারণে এরকম হয়। যৌনতা বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকায় অনেকে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় ভুগে থাকেন। নারীর অর্গাজমের বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে অনেক পুরুষ নারীকে যথাযথভাবে উদ্দীপ্ত করতে পারে না। ফলে নারীর যৌন আগ্রহ কমে যায়। আপনারা একজন কাপল থেরাপিস্ট বা সেক্স থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে পারেন।

প্রশ্ন: আমার বয়স ৪০ বছর। আমার নিজেকে সবসময় ব্যর্থ মনে হয়। মনে হয় সবাই জীবনে অনেক কিছু করে ফেলেছে। আমি কিছুই পারলাম না। সবারই নিজের উপার্জিত সম্পত্তি রয়েছে। আমার এখনও কোনও সঞ্চয় নেই। বিয়েও করতে পারিনি। খুব হতাশ লাগে।

উত্তর: জীবনের প্রতিটি দিন নতুন সুযোগ নিয়ে আসে। তাই নিজের প্রতি সদয় হন, লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, নতুন কিছু শিখুন এবং সামাজিক সংযোগ বজায় রাখুন। মানুষ সামাজিক প্রাণী, তাই একাকীত্ব আমাদের মধ্যে বিষণ্ণতা সৃষ্টি করে। অন্তর্মুখী মানুষেরা একাকীত্বের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। একাকীত্ব থেকে মুক্তি পেতে মানুষের সাথে মেশার বিকল্প নেই। প্রত্যাশা ছাড়া ভালোবাসা প্রদর্শন করলে মানুষ আপনার সাথে মিশতে শুরু করবে। বিষণ্ণতা থেকেও একাকীত্ব আসতে পারে, তাই মেডিটেশন, ব্রিদিং এক্সারসাইজ, এবং ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পায়ে হাঁটুন বা দাঁড়ান। পোষা প্রাণীর সাহচর্যও সহায়ক হতে পারে। নিজের ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করুন এবং ছোট ছোট সাফল্য উদযাপন করুন। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে যান, এতে ধীরে ধীরে উন্নতি দেখতে পাবেন। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন, এটি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। বন্ধু ও পরিবারের সাথে সময় কাটান এবং আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করুন।