ক্যাসিনোকাণ্ডে ওয়ান্ডার্স ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারির জামিন শুনানি মুলতবি

ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানান অভিযোগে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি জয় গোপাল সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া চারটি মামলায় জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি দুই মাসের জন্য মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

আদালতে গোপাল সরকারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনমুন নাহার। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

এর আগে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি জয় গোপাল সরকারের জামিন আবেদনের শুনানিতে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র, কমিটি ও অডিট রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় এসব নথিপত্র জমা দেন তার আইনজীবীরা।

নথিপত্রের তথ্য তুলে ধরে সাবেক অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম আদালতকে জানান, ১৯৩০ সালে ওয়ান্ডারার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠা হয়। সেখানে ফুটবল, ক্রিকেট, বলিবল, হ্যান্ডবলসহ বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই ক্লাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতেন। এ সময় ক্যাসিনোর বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত।

জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন।

পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর গেন্ডারিয়া থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এনু-রুপনের দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে এলে সিআইডি তাকে ২০২০ সালের ১৩ জুলাই লালবাগ থেকে গ্রেফতার করে। পরদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর জয় গোপাল সরকারের বিরুদ্ধে করা ছয়টি মামলায় তিনি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান। এর মধ্যে গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ পৃথক দুটি জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন। তবে বাকি চারটি জামিন আবেদন শুনানির জন্য মুলতবি করলেন হাইকোর্ট।