এই সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিচারপতিকে সংবর্ধনা জানিয়ে বক্তব্য দেন। মাহবুবে আলম বলেন, ‘বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ একজন রুচিবান ও সংস্কৃতিবান ব্যক্তি। তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে সাধু ও সৎ।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বিচারপতি হিসেবে আপনার একটা গুন ছিল। আপনি শুনানি শেষের সঙ্গে সঙ্গে রায় দিয়ে দিতেন। এতে বিচারপ্রার্থীসহ আইনজীবীরা বেশি খুশি হতেন।’
পরে বিদায়ী ভাষণে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ বলেন, ‘করোনার এই ক্রান্তিকালে আমার প্রতি আপনাদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসার বহির্প্রকাশ স্বরূপ এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার কাজক্রমে আমি আপনাদের সঙ্গে সুন্দর ও সোহার্দ্য সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। আদালতের কার্যক্রমে আপনারা সক্রীয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আমাকে সহযোগিতা করেছেন সেজন্য আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আজকে থেকে প্রায় ৩৭ বছর আগে ১৯৮৩ সালের ২০ এপ্রিল মুনসেফ পদে বিচার বিভাগে আমি যোগদান করেছিলাম।’
সিনিয়র আইনজীবীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে যারা জুনিয়র আইনজীবী আছে, তারা যেনও বর্তমান কঠিন সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাদের পরিবাবর পরিজন নিয়ে সুষ্ঠুভাবে এবং সম্মানজনকভাবে বাঁচতে পারে সেদিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। কেন না আমিও একদিন জুনিয়র আইনজীবী ছিলাম। সেহেতু জুনিয়রদের দুঃখ আমি বুঝি। বারের সভাপতি আমার ইয়াতিম খানার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা বলেছেন। ওনাকে অনেক ধন্যবাদ। আসলে আমার ১১টি ইয়াতিম খানার সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। আমার হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে।’
প্রসঙ্গত, বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবায়ের হত্যা, জাসদ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মোমিন হত্যা, লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী স্মৃতি নাথ সীমাকে ধর্ষণের পর হত্যা এবং নরসিংদীর সিক্স মার্ডারসহ বহু আলোচিত মামলার রায় দিয়েছেন।