বুধবার (১৭ এপ্রিল) মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষে আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন,’যেহেতু খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়নি এবং মামলার আলামতসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা এখনও সেসব নথি হাতে পাইনি। তাই অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানো হোক।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বকশি বাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভুইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।
এদিন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল অভিযোগ গঠন শুনানি করেন। শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে ৫(২) ধারায়,দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করার জোড় দাবি জানান।
এর আগে ১০ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বিশেষ আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছেন বিশেষ আদালত।
অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার (মৃত), আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি.(গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, একেএম মোশাররফ হোসেন ।