গ্রেফতার ডাকাত চক্রটির মূলহোতা আসলাম আলম স্বাধীন (২৫)। তার নেতৃত্বে চক্রের অন্য সদস্যরা ডাকাতি করে থাকে। অন্যা সদস্যরা হলো- মো. আশরাফুল ইসলাম সনি ওরফে বিশু (২৬), মো. রবিন (২৫), শামীম ইসলাম শামীম (২২), নাজমুল হাসান (২১), নিজাম উদ্দিন অপু (২৫), মো. মিজানুর রহমান (২৩), তাইমুল ইসলাম (১৯) ও মামুন (১৯)।
তাদের কাছ থেকে একটি দেশে তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ, দুটি চাপাতি, একটি ছোরা, দুটি পাইপ, একটি কাঠের তৈরি লাঠি, তিনটি রশি, ১৭টি সিম কার্ড, ১০ টি মোবাইল ও নগদ ২ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার এই চক্রটির প্রত্যেক সদস্যের বিরুদ্ধেই তুরাগসহ বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
র্যাব ১ এর অধিনায়ক বলেন, ‘দিয়াবাড়ি ও এর আশেপাশে এলাকায় এই চক্রটি ডাকাতি করে থাকে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দিয়াবাড়িতে যারা ঘুরতে আসে, তাদের টার্গেট করে এই চক্রটি। তারা আগে থেকে পথে ওৎ পেতে থাকে। এরপর সুযোগ বুঝে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দর্শনার্থীদের সবকিছু কেড়ে নেয়। এমনকি মিরপুর থেকে যারা এই পথ ব্যবহার করে উত্তরা আসে তাদেরও গাড়িতে ডাকাতি করে এই চক্রটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাইভেটকার বা গাড়িতে ডাকাতি করতে এই ডাকাত দলটি অভিনব কৌশল অবলম্বন করতো। মিরপুর থেকে আসা কোনও প্রাইভেটকার পথ জানতে চাইলে তারা ভুল পথ দেখিয়ে দিতো। তারা বলতো, সামনে কাজ চলে, অন্য পথ দিয়ে যান। এরপর নির্জন পথ দিয়ে প্রাইভেটকার গেলে গাড়ির গতিরোধ করে ডাকাতি করতো।’
লে. কর্নেল মো. সারোয়ার বলেন, ‘গাড়ি থামাতে এই ডাকাত দলটি গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে, রোড ব্লকার ব্যবহার করে, এমনকি সড়কে দামি মোবাইল ফোন রেখে দেয়, তারপর সেটি তুলে। এসময় চালক গাড়ির গতি কমিয়ে দিলে তারা অস্ত্র নিয়ে গাড়িতে আক্রমণ করে।’
গ্রেফতার স্বাধীন এর আগেও র্যাবের হাতে ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে সে ফের ছিনতাই, ডাকাতি ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলেও জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার বিন কাশেম।
এই দলটিতে ১৪ থেকে ১৫ জন সদস্য রয়েছে। তারা ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে বলেও জানান তিনি।