শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রিন্টার, রঙের কৌটা, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ও ব্যাচ নং লেখাসহ বিভিন্ন প্রকার সিল, একটি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানির ৩০০ পিস নকল ইনসুলিন, নকল সেক্স পাওয়ার ক্যাপসুল ৮৪ হাজার পিস, অ্যাক্ট্রাপিড ১০ মিলি ৬৫ পিস, জি পেথিডিন প্লাস্টিকের একটি ট্রে প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের জি পেথিডিন ইনজেকশনের ১ রোল ওয়ালপেপার( স্টিকার), প্রিমিয়ার ফার্মাসিটিক্যালসের অ্যালাট লেখা ওষুধের ফয়েল পেপার জব্দ করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল বাতেন জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নকল ওষুধ তৈরি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রের ৫ সদস্যকে নকল ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়। শিশুদের দিয়ে অভিনব কৌশলে তারা এসব বহন করতো। বিভিন্ন অখ্যাত ফার্মেসির মাধ্যমে মার্কেটিং করে নকল ওষুধগুলো নাম মূল্যে বিক্রি করে জনসাধারণকে প্রতারিত করে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমাদের অভিযান চলবে। আমাদের মূল টার্গেট এখন কারা কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় এবং কোন কোন বিশেষ ফার্মেসিগুলোতে এসব ওষুধ বিক্রির জন্য ব্যবহার করে আসছে। খুব দ্রুত আমরা আরও বেশ কিছু চক্রকে ধরতে পারবো বলে মনে করছি। এসব নকল ওষুধ মানুষের কাজে আসে না, অন্যদিকে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মোহাম্মদ সোবহান দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ওষুধ কোম্পানির ওষুধ নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে, ওষুধের লেবেল ব্যবহার করে সব তথ্য সম্বলিত সিল দেওয়ার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন ওষুধ বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করে দেশীয় পদ্ধতিতে ওষুধের গায়ে মেয়াদ ব্যাচ নং মূল্য ইত্যাদি নতুনভাবে সংযোজন করে পুনরায় বাজারজাত করে আসছিল।