ট্রেনে আগুন: চিকিৎসাধীন ৮ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত নন

রাজধানীর গোপীবাগে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আট রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাদের প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। কেউ এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ভর্তি আছেন আট জন। তাদের শরীরের কম অংশই পুড়েছে। কারও ৯, কারও ৮ শতাংশ। অনেকের বাইরে পোড়েনি। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো, তাদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাদের অনেকের ভেতরে অসুবিধা আছে, ম্যানেজ করতে সময় লাগবে।’

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘কোনও রোগী এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা বাসায় না যাবেন, তাদের আমরা আশঙ্কামুক্ত বলতে পারি না। যখনই তারা ভালো হয়ে যাবেন, তাদের যে মানসিক ট্রমা– আমি দেখলাম, একটা শিশু ভয় পাচ্ছে; চিৎকার শুনে ভয় পায়। রোগীরা আতঙ্কিত. এটা কবে কাটবে, এটা বলা যায় না। এটার দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার দরকার।’

যশোরের বেনাপোল থেকে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন। রাজধানীতে পৌঁছার পর রাত ৯টার দিকে এই ট্রেনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। ট্রেন থেকে দগ্ধ চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আট রোগীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।