ওমিক্রন ও ডেল্টা মোকাবিলায় ১১ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি ওমিক্রন ও ডেল্টা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য নতুন করে আরও ১১ লাখ বাইভেলেন্ট ভ্যাকসিন হাতে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাক্সিনগুলো বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে। এ ছাড়া আরও ২০ লাখ বাইভেলেন্ট ভ্যাকসিন দেবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। শিগগির এই ভ্যাকসিনগুলো বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া শুরু করা হবে।’

মঙ্গলবার (২ মে) সচিবালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পথপরিক্রমায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অদম্য যাত্রায় ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য অধিফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালের ২ মে তৎকালীন কলকাতার থিয়েটার রোডে প্রথম যাত্রা শুরু হয় আজকের স্বাস্থ্য অধিদফতরের। এ কারণে ২ মের সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিকে মনে রেখেই আজকের এই জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩ পালন করা হচ্ছে।

বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বর্তমানে দেশের ৫১টি সরকারি হাসপাতালে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। এই সেবায় আমরা লক্ষ্য করেছি, দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। চিকিৎসকরাও খুশিমনে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এ জন্য এই সেবার আরও পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আরও ১০০ হাসপাতালে বৈকালিক সেবা চালু করা হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের জন্মলগ্ন থেকে ৫২ বছর হয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬০ হাজার বেড হয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স, ৩৩ হাজার চিকিৎসক, ১৮ হাজার ক্লিনিক, যার মধ্যে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘সব ওষুধ বর্তমানে দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। সরকারি ৩৭টি ও বেসরকারি ৭২টি মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট করা হয়েছে ১৫টি। সব মিলিয়ে গত ৫২ বছরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অর্জন বলে শেষ করা যাবে না।’