৪ দিনব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু

শিশুদের জন্য ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (১৫ জুন) বিকালে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে এই ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন তিনি। ক্যাম্পেইন ১৫ থেকে ১৯ জুন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

ভিটামিন ‘এ’ প্লাসের গুণাগুণ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখে, ফলে শিশু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে নিকটস্থ ইপিআই ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী ২৪ লাখের বেশি শিশুকে খাওয়ানো হবে নীল রঙের একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৬ লাখের বেশি শিশুকে লাল রঙের একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়াও জন্মের পর (১ ঘণ্টার মধ্যে) শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।

প্রায় এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতি কেন্দ্রে দুই জন করে মোট দুই লাখ ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবেন। ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নকে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে ক্যাম্পেইন পরবর্তী চার দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ পড়া শিশু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।