ট্রাম্পের কটূক্তির শিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, মার্কিন শেয়ারবাজার ও ডলারের পতন

এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কটূক্তির শিকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান জেরোম পাওয়েল। সুদ হার কমানোর জন্য যথেষ্ট দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ায়, সোমবার (২১ এপ্রিল) তাকে গ্রেট লুজার বা হেরে যাওয়া ব্যক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। এর জেরে মার্কিন শেয়ারবাজার এবং ডলারের আবারও পতন হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘পাওয়েলকে অর্থনীতির উন্নতির জন্য সুদ হার কমাতে হবে। তিনি আরও বলেন, পাওয়েল সবসময়ই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুসারে সঠিক সময়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেছেন।

তিনি লিখেন, ‘অর্থনীতি ধীরগতির হতে পারে যদি একজন হেরে যাওয়া ব্যক্তি, এখনই সুদ হার না কমান।’

ট্রাম্প পাওয়েলের সমালোচনা তখনই করেছেন যখন তার নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের কারণে শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে এবং অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। প্রেসিডেন্টের পাওয়েলের সাথে চলমান সংঘাত শেয়ার বাজারে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০০টি বৃহত্তম কোম্পানির শেয়ার মূল্য সূচক, সোমবার প্রায় ২.৪ শতাংশ পড়েছে। বছরের শুরু থেকে কোম্পানিটি প্রায় ১২ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে।

যদিও ডলার এবং মার্কিন সরকারের বন্ড সাধারণত বাজারের অস্থিরতায় নিরাপদ সম্পদ হিসেবে ধরা হয়, তবুও তারা এই অস্থিরতা থেকে মুক্ত ছিল না।

ইউরোসহ কিছু মুদ্রার বিপরীতে ডলারের শক্তি পরিমাপ করে ডলারের মূল্য সূচক। সোমবার তা ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে।

এদিকে সোনার মূল্য একটি নতুন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। কারণ বিনিয়োগকারীরা ‘নিরাপদ আশ্রয়’ হিসেবে সোনাকে বেছে নিচ্ছে। এটি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে একটি নিরাপদ স্থানে টাকা রাখার জন্য মূল্যবান ধাতু হিসেবে বিবেচিত হয়।

পাওয়েল সম্পর্কে সমালোচনা প্রথম মেয়াদেই শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। ওই সময় তাকে পদচ্যুত করার কথাও আলোচনা করেছিলেন তিনি। আর এবার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি পাওয়েলকে সুদ হার কমানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রকাশ্যে পাওয়েলকে বরখাস্ত করার দাবি করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘পাওয়েলের পদত্যাগ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হওয়া উচিত।’