মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। শনিবার (১৯ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। ‘৫০৫০১’ নামে পরিচিত এই বিক্ষোভ মার্কিন বিপ্লবের সূচনার ২৫০তম বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়। এর অর্থ ‘৫০টি প্রতিবাদ, ৫০টি অঙ্গরাজ্য, ১টি আন্দোলন’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক এবং শিকাগোসহ প্রধান শহরগুলো বিক্ষোভ হয়। হোয়াইট হাউজের বাইরে টেসলা ডিলারশিপগুলোর সামনে এবং বিভিন্ন শহরের কেন্দ্রে বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের বিতাড়ন, সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই, গাজা ও ইউক্রেন নীতির বিরোধীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
অনেক বিক্ষোভকারী ‘রাজতন্ত্রকে না বলুন’ লেখা পোস্টার বহন করছিলেন, যা ছিল ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবের সূচনার স্মরণে একটি বার্তা।এছাড়া ‘শ্রমিকদের অবশ্য শক্তি থাকা উচিত’, ‘ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করুন’, ‘অভিবাসীদের সুরক্ষা দাও, পৃথিবীকে রক্ষা করো’, অভিবাসীদের স্বাগত’সহ বিভিন্ন স্লোগান লেখা পোস্টার তারা বহন করছিল।
বিক্ষোভগুলো সাধারণত শান্তিপূর্ণই ছিল। যদিও ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি সুহাস সুব্রমানিয়াম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওতে এক ব্যক্তি ট্রাম্পের সাইন হাতে ভিড়ের মধ্যে জোর করে ঢুকে তাকে ক্ষুব্ধভাবে তিরস্কার করছেন।
‘৫০৫০১’ আগামী পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পরবর্তী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এই দিনের কর্মসূচির নাম ‘মে দিবসের শক্তি’।
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রথম বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল ৫ এপ্রিল। ‘হ্যান্ডস অফ’ নামের ওই আন্দোলনেও ব্যাপক জনসমাগম হয়েছিল। সেটি ছিল শনিবারের চেয়েও বড় বিক্ষোভ। সে সময় ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১,২০০টি স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জাতীয় প্রতিবাদ। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছে।
গ্যালাপের সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, ট্রাম্পের প্রথম কোয়ার্টারে কর্মদক্ষতার প্রতি ভোটারদের সমর্থনের হার ৪৫ শতাংশ, যা তার আগের প্রশাসনের একই সময়ের ৪১ শতাংশের চেয়ে বেশি।
রয়টার্স/ইপসস-এর এক জরিপে দেখা গেছে, তার জনপ্রিয়তা ৪৭ শতাংশ থেকে কমে ৪৩ শতাংশে নেমে এসেছে। একই জরিপে দেখা যায়, অর্থনীতি নিয়ে তার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট ৩৭ শতাংশ, যা আগের ৪২ শতাংশ থেকে কম।