দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সফরে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মেক্সিকো সীমান্তে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে পেন্টাগনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে, তার এই এরই সর্বশেষ ইঙ্গিত। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প তার অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের জন্য ক্রমশ সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছেন। এর মধ্যে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন, সামরিক বিমান ব্যবহার করে অভিবাসীদের বহিষ্কার এবং সামরিক ঘাঁটিগুলোকে তাদের থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করার মতো উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, প্রেসিডেন্ট একশ শতাংশ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে চান এবং আমরা তা নিশ্চিত করবো।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, তিনি কিউবার গুয়ানতানামো বে নৌ ঘাঁটিতে একটি বন্দিশিবির সম্প্রসারণ করছেন, যেখানে ৩০ হাজার অভিবাসীকে আটকে রাখা হবে। তার সীমান্ত বিষয়ক উপদেষ্টা টম হোমান বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি ৩০ দিনের মধ্যেই সেখানে অভিবাসীদের পাঠানো শুরু করা যাবে।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অতিরিক্ত মার্কিন মেরিন সেনারা গুয়ানতানামো বে-তে পৌঁছেছে, যেখানে অভিবাসীদের জন্য নির্ধারিত সুবিধাগুলো সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, পেন্টাগন টেক্সাসের এল পাসো এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে আটক থাকা ৫ হাজারের বেশি অভিবাসীকে বহিষ্কারের জন্য সামরিক বিমান সরবরাহ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের শেষে সামরিক বিমানযোগে আটক অভিবাসীদের হন্ডুরাস ও পেরুতে পাঠানো হয়েছে।
তবে এই সামরিক ফ্লাইটগুলো অভিবাসীদের বহিষ্কারের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল। রয়টার্স জানিয়েছে, গত সপ্তাহে গুয়াতেমালায় পাঠানো একটি সামরিক উড়োজাহাজের খরচ প্রতি অভিবাসীর জন্য আনুমানিক ৪ হাজার ৬৭৫ ডলার পড়েছে।
এই খরচ আমেরিকান এয়ারলাইন্সে এল পাসো থেকে গুয়াতেমালার একমুখী ফার্স্ট ক্লাস টিকিটের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি।