স্বামীর শেষকৃত্যের কয়েক ঘণ্টা পর স্ত্রীর মৃত্যু

সারা ও লুই নোভাকের পুরনো একটি ছবি। পরস্পরের চোখের দিকে তাকিয়ে হাসছেন তারা। ছবিটিতে যেন নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে তাদের প্রেম। 

সারা নোভাকের মা প্যাট্রিসিয়া কার্টরাইট বলেন, ‘তাদের সম্পর্ক ছিল একেবারে যথাযথ।’

ছয় বছরের বিবাহিত জীবনে বেশ সুখী সময় পার করছিলেন এই দম্পতি।

কার্টরাইট বলেন, ‘তারা একে অন্যের পাশে সব সময় ছিল। কেউ কিছু ভুলে গেলে, অপরজন তা ঠিকই মনে রাখত।’

ছয় সন্তান নিয়ে ক্যাম্পিং, ভ্রমণসহ একে অপরের সঙ্গে অনেক মধুর সময় কাটিয়েছেন এই দম্পতি।

সারার মায়ের কথায়, ‘তার বাড়ি কখনোই পূর্ণ ছিল না, সব সময় সেখানে একজনের জন্য ফাঁকা জায়গা থাকত।’

গত ছয় মাস ছিল এই দম্পতির জন্য ভীষণ কঠিন। লুই নোভাকের ক্যানসার শনাক্ত হয়।

কার্টরাইট বলেন, “সে লড়াই করেছিল। আসলেই কঠিন লড়াই ছিল তা। এত কঠিন সময়েও মেয়ে ইতিবাচক ছিল। যখনই কারো কিছু প্রয়োজন হতো সে বলত, ‘চিন্তা করবেন না আমরা ব্যবস্থা করছি’।”

১৯ মার্চ ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেরে যান লুই। 

কার্টরাইট বলেন, ‘লুইকে ছাড়া সারা বেঁচে থাকতে পারবে বলে আমার মনে হয়নি। তাই, সে এখন তার সঙ্গে আছে।’

ভালোবাসার মানুষের শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সারা নোভাক একটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। 

সারার বাবা রান্ডাল কার্টরাইট বলেন, ‘মেয়ের স্বামীকে সমাহিত করার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর মেয়ের এমন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া খুব দুঃখজনক।’

জেফারসন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় বলেছে, তাদের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১ এপ্রিল পালমিরার শহরের ক্যালকিন্স রোডের কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান গাড়িতে থাকা দুই যাত্রী। তাদেরই একজন ছিলেন সারা নোভাক। 

প্যাট্রিসিয়া কার্টরাইট বলেন, ‘আমরা চাই তাকে মানুষ পরিপূর্ণ জীবনযাপনকারী হিসেবে মনে রাখুক।’

পরিবার বলছে, স্মৃতিতে তারা চিরকাল অম্লান থাকবে।

সূত্র: সিবিএস ৫৮