বিশ্বে গত বছর সবচেয়ে দূষিত বলে বিবেচিত ২০টি শহরের ১৩টিই ভারতের। আর এই ২০টির মধ্যে ১৯ টিই এশিয়ার। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আইকিউএয়ারের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সুইস বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের পাঁচ নম্বর দূষিত দেশ ছিল ভারত। চাদ, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও কঙ্গোর পরেই দেশটির অবস্থান। ২০২৪ সালে ভারতের গড় পিএম ২.৫ স্তর ছিল ৫০.৬ মাইক্রোগ্রাম, যা আগের বছরের তুলনায় ৭% কম।
মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, মাত্র সাতটি দেশ গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) নির্ধারিত বায়ু মানের মানদণ্ড পূরণ করেছে। শুধু অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, বাহামাস, বার্বাডোস, গ্রেনাডা, এস্তোনিয়া ও আইসল্যান্ড ডাব্লিউএইচও’র নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানায় আইকিউএয়ার।
গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার পর ধোঁয়াশার বিরুদ্ধে লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণের চিত্র আরও স্পষ্ট করতে উল্লেখযোগ্য তথ্য ঘাটতি রয়েছে, বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকায়। অনেক উন্নয়নশীল দেশ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনগুলোর ওপর স্থাপিত বায়ু মানের সেন্সরের ওপর নির্ভর করত তাদের দূষণের মাত্রা নির্ণয় করতে।
তথ্যের স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের তালিকা থেকে চাদকে বাদ রাখা হয়েছিল, তবে ২০২২ সালেও এটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। দেশটি সাহারা মরুভূমির ধুলো ও অনিয়ন্ত্রিত ফসল পোড়ানোর কারণে ব্যাপক দূষণের শিকার হয়।
২০২৪ সালে চাদের বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ৯১.৮ মাইক্রোগ্রাম পিএম ২.৫ কণা পাওয়া গেছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় সামান্য বেশি।
আইকিউএয়ার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ ছিল চাদ ও বাংলাদেশ এই দুটি দেশে গড় ধোঁয়াশার স্তর ডাব্লিউএইচও’র নির্দেশিকার তুলনায় ১৫ গুণ বেশি ছিল।