ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনা শেষ, আগামী সপ্তাহে পরবর্তী বৈঠক

পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ইতিবাচক’ ও ‘গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ওমানের রাজধানী মাসকাটে ‘পরোক্ষ’ এই বৈঠক হয়েছে। এই আলোচনার পর আগামী সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসার সম্মতি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতিনিধিরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।  

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনাকে একটি ‘গঠনমূলক পরিবেশে ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে বর্ণনা করেছে।

মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন স্পেশাল এনভয় স্টিভ উইটকফ। ইরানি পক্ষের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তার সঙ্গে তার রাজনৈতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভাঞ্চি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঈসমাইল বাঘায়ী উপস্থিত ছিলেন।  

ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর বিন হামাদ আল-বুসাইদী প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আলাদা কক্ষে বসে থাকা উভয় পক্ষের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান করছিলেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, আমরা আলোচনার রূপরেখার খুব কাছাকাছি আছি। আর যদি আগামী সপ্তাহে এই ভিত্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারি, তবে সেটি একটি বড় অগ্রগতি হবে এবং আমরা সেই ভিত্তির ওপর বাস্তব আলোচনা শুরু করতে পারব। তবে  সম্ভাবনা রয়েছে।

আরাকচি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদ থেকে এ পর্যন্ত এটি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আলোচনা। ‘উৎপাদনশীল, শান্তিপূর্ণ এবং ইতিবাচক পরিবেশে’ এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে

হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই আলোচনা ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল, তবে আজ বিশেষ দূত উইটকফের সরাসরি যোগাযোগ পারস্পরিক উপকারে পৌঁছানোর পথে একটি অগ্রগতি। উভয় পক্ষ আবার আগামী শনিবার সাক্ষাৎ করতে সম্মত হয়েছে।

ট্রাম্প গত সোমবার হঠাৎ ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ওমানে আলোচনা শুরু করবে। এর আগেও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে ওমান।

তবে আলোচনার ঠিক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি কোনও চুক্তি না হয়, আবারও তেহরানকে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ট্রাম্প প্রশাসনের প্রিয় বাক্যাংশ পুনরায় বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্টের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে তার ফল হবে ‘জাহান্নামের মতো বিপর্যয়’।