হিজবুল্লাহ নেতা নাসরাল্লাহকে লেবাননে দাফন ২৩ ফেব্রুয়ারি

ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর দাফন আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি লেবাননে অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক টেলিভিশন ভাষণে তার উত্তরসূরি নাঈম কাসেম বলেন, নাসরাল্লাহ এমন এক সময় নিহত হন যখন পরিস্থিতি জটিল ছিল। ফলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাকে অস্থায়ীভাবে দাফন করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

কাসেম আরও জানান, নাসরাল্লাহ এবং হিজবুল্লাহর আরেক শীর্ষ নেতা হাসেম সাফিয়েদ্দিনের জন্য ‘বৃহৎ জনসমাগমের মাধ্যমে একটি মর্যাদাপূর্ণ জানাজা’ আয়োজন করবেন তারা। নাসরাল্লাহ হত্যার কয়েকদিন পর আরেকটি ইসরায়েলি হামলায় সাফিয়েদ্দিন নিহত হন।

তিনি প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেন যে, নাসরাল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে সাফিয়েদ্দিন নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই তিনি নিহত হন। তাই তাকে হিজবুল্লাহর মহাসচিব হিসেবে দাফন করা হবে।

নাসরাল্লাহকে বৈরুতের উপকণ্ঠে একটি নির্বাচিত স্থানে দাফন করা হবে, যা পুরোনো ও নতুন বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত। আর সাফিয়েদ্দিনকে তার নিজ শহর দক্ষিণ লেবাননের দেইর কানউনে দাফন করা হবে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ওই হামলায় নিহত হন ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিজবুল্লাহর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী নাসরুল্লাহ।

গত নভেম্বরের শেষ দিকে হওয়া এক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে সরে যাবে, হিজবুল্লাহ তাদের যোদ্ধা ও অস্ত্র প্রত্যাহার করবে এবং লেবানিজ সেনারা সেখানে মোতায়েন হবে।

তবে গত মাসে এই সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে, কারণ তারা এখনও লেবানন ছাড়েনি এবং মাঝে মাঝে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলও অভিযোগ করছে যে হিজবুল্লাহও চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।

হিজবুল্লাহ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় তাদের মিত্র হামাসকে সহায়তা করতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। তবে মাসের পর মাস চলা সীমান্ত যুদ্ধ এবং ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার ফলে সংগঠনটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।