পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি কিশোরসহ নিহত ৫

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক  ফিলিস্তিনি কিশোরও রয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে বৃহৎ পরিসরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান তৃতীয় সপ্তাহেও চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জেনিন অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তারা নিহত হয়।  ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র দুই দিন পর, ২১শে জানুয়ারি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর পশ্চিম তীরের শহরটিতে অভিযান শুরু করে।

বিমানবাহিনীর সহায়তায় শতশত ইসরায়েলি সেনা তখন থেকে জেনিনে ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা সেখানে সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জামের সন্ধান করছে।

কিশোরের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যে বিমান বাহিনী জেনিন এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে জেনিনের কাবাতিয়া এলাকায় ‘সন্ত্রাসী’ থাকা গাড়িতে বিমানবাহিনী হামলা চালিয়েছে তারা।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, অভিযানের সময় জেনিন এবং আশেপাশের গ্রামগুলোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ছয় সদস্য ও দুই বছর বয়সী মেয়েসহ কমপক্ষে ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী কমপক্ষে ১৮ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে এবং ৬০ জনকে আটক করেছে। ১০০ টিরও বেশি বিস্ফোরক ডিভাইস ধ্বংস করেছে এবং একটি অস্ত্র তৈরির কর্মশালা জব্দ করেছে।

জেনিন শরণার্থী শিবিরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে বহু ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া সড়কসমূহ খনন করায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এছাড়াও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে এবং শিবিরের অন্তত ৮০ শতাংশ বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বুধবার বলেছেন, সেনাবাহিনী জেনিনে থাকবে যতক্ষণ না অভিযান সম্পূর্ণ হয়, তবে এটি কবে শেষ হবে তা তিনি বলেননি।