মার্কিন নির্বাচনের কোনও গুরুত্ব নেই ইরানে, সংঘাত মোকাবিলায় প্রস্তুত

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ইরানিদের জীবিকা প্রভাবিত হবে না, বলেছেন ইরানের সরকারি মুখপাত্র ফাতেমা মোহাজেরানি। বুধবার (৬ নভেম্বর) তাসনিম নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে তিনি বলেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) নির্বাচনের কোনও গুরুত্বই নেই ইরানে। তার এই মন্তব্যের পরপরই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় দাবি করেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। 

আরব ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইরানের ওপর ট্রাম্প তার সর্বোচ্চ চাপ নীতি পুনরায় কার্যকর করতে পারেন। এর ফলে তেহরানের তেল শিল্পে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর সুযোগ দিতে পারে।

প্রতিবেদনে তাসনিম মোহাজেরানি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সত্যি আমাদের বিষয় নয়। আমাদের নীতি স্থিতিশীল। ব্যক্তির ওপর ভিত্তি করে তা পরিবর্তিত হয় না। আমরা পূর্বেই প্রয়োজনীয় পূর্বাভাস দিয়েছিলাম, এই নির্বাচন মানুষের জীবিকায় কোনও পরিবর্তন আনবে না।’

ইরানের বিপ্লবী গার্ডরা ট্রাম্পের বিজয়ের দাবি নিয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে তারা বলেছে, তেহরান এবং এর মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত মোকাবিলায় প্রস্তুত।

বুধবার ইরানের বিপ্লবী গার্ডের উপপ্রধান আলি ফাদাভি বলেছেন, ‘ ইহুদিবাদীরা আমাদের মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে না। বরং তাদের আমাদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্রের মজুত রয়েছে।’

ইসরায়েলের ২৫ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে তেহরান। ওই হামলায় তাদের চার সেনা নিহত হয়েছে।

প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করেছিলেন যা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়েছিল।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের তেল রপ্তানি কমে যায়,সরকারের আয় হ্রাস পায় এবং এর ফলে তেহরান সরকারকে অপ্রিয় পদক্ষেপ নিতে হয়। যেমন: কর বাড়ানো এবং বড় বাজেট ঘাটতি চালু করা। এর ফলে তাদের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছে যায়। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের তেল রপ্তানি কমে যায়,সরকারের আয় হ্রাস পায় এবং এর ফলে তেহরান সরকারকে অপ্রিয় পদক্ষেপ নিতে হয়। যেমন: কর বাড়ানো এবং বড় বাজেট ঘাটতি চালু করা। এর ফলে তাদের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছে যায়।