জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসির বৈশ্বিক ঝুঁকি বিভাগের প্রধান জেন-মার্ক রিকলি বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করা হয়েছে। এতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ওপর হামলার আশঙ্কা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। রবিবার (২০ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আল-জাজিরাকে রিকলি বলেন, নেতানিয়াহুর ওপর ড্রোন হামলাকে আমরা যদি হত্যাচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করি, তাহলে ইরানে তার সমতুল্য হতে পারেন সুপ্রিম লিডার। ইসরায়েল তাই সুপ্রিম লিডারকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারেন।
তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল ইরানের সমর্থক ও আঞ্চলিক মিত্রদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করছে। শুধু হিজবুল্লাহ নয়, হুথিসহ অন্যান্য গোষ্ঠীও এর মধ্যে রয়েছে।
রিকলি বলেছেন, ইসরায়েল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা প্রস্তুত। যেভাবে তারা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং গোষ্ঠীটিকে শেষ করে দিচ্ছে। এখন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও শুরু করেছে। তাদের উদ্দেশ প্রথমে এই গোষ্ঠীগুলোর নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করে তাদের নেতৃত্বকে শেষ করে দেওয়া। এরপর তাদের কার্যক্রমকে নিরস্ত্র বা পরাস্ত করার চেষ্টা করা।
শনিবার তেল আবিব শহরের উত্তরে সিজারিয়া এলাকায় নেতানিয়াহুর বাসভবনে আঘাত হানে হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন। তবে ওই সময় নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সেখানে ছিলেন না। এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে উত্তর গাজা ও লেবাননে হামলা জোরদার করেছে তারা।