গাজায় অভিযান অব্যাহত রাখলে বন্দি জিম্মিদের কফিন ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) হামাসের কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বন্দি জিম্মিদের অবস্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা করলে, তাদের সঙ্গে কি করা হবে সে সম্পর্কে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জিম্মিদের রক্ষণাবেক্ষণকারী যোদ্ধাদের এই নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।গত জুন থেকে হামাস যোদ্ধারা এ নির্দেশনা মেনে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধারের দুই দিন পর এই বিবৃতি দিলো হামাস।
তাদের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী জিম্মি অবস্থানের কাছাকাছি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্দিদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
আবু উবাইদা আরও বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পরিবর্তে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর তা অব্যাহত রাখলে জিম্মিদের কফিনে করে তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হবে। তাদের পরিবারকে বেছে নিতে হবে, তারা তাদের বন্দি আত্মীয়দের কীভাবে বেছে নেবে,মৃত নাকি জীবিত?
জিম্মিদের মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে হামাস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু ও তার সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দি বিনিময় চুক্তিতে বাধা দিয়ে জিম্মিদের মৃত্যু ডেকে আনছে।
নেতানিয়াহু অবশ্য জিম্মিদের মৃত্যুর জন্য দায়ী হামাস যোদ্ধাদের এর মূল্য দিতে হবে বলে অঙ্গীকার করেছেন। তবে
হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর অভিযোগ তাদের মৃত্যুর দায় এড়ানোর চেষ্টা।
দীর্ঘদিনের চেষ্টা সত্ত্বেও গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। চুক্তি হলে ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি দেওয়া হতো।