যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের ইঙ্গিত ইরানের

সৌদি আরবের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস দিয়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দী বিনিময় হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে প্রাথমিক একটি চুক্তি হয়েছে ওয়াশিংটনের সঙ্গে। তবে মার্কিন এক কর্মকর্তা এই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রবিবার হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ‘গত কয়েকদিনে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। আমেরিকার পক্ষে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্বল্পমেয়াদে বন্দি বিনিময় প্রত্যক্ষ করব আমরা।’

তিনি বলেন, ‘গত বছরের মার্চে পরোক্ষ আলোচনার সময় আমাদের সঙ্গে আমেরিকান পক্ষের একটি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিটি বাস্তবায়নের সময় এসেছে এখন। আসলে আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু প্রস্তুত।’

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র রবিবার ইরানে বন্দি মার্কিন নাগরিকদের মুক্তির জন্য কোনও চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আসলে ইরান এমনটা চায় না। তাদের এমন আচরণে সিয়ামক নামাজি, এমাদ শারঘি এবং মোরাদ তাহবাজের পরিবারের কষ্ট আরও বাড়বে।’

এ তিনজন ইরানি-আমেরিকান নাগরিক। তারা সবাই ইরানের কারাগারে বন্দি আছেন। 

ইরানের শীর্ষ কূটনীতিকের মন্তব্য এমন সময়ে এলো যখন তার ডেপুটি আলি বাগেরি কানি ওমান ভ্রমণ করেছেন। বলা হচ্ছে, বন্দি বিনিময় আলোচনায় তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে মাস্কাট।

গত অক্টোবরে ৮৫ বছর বয়সী ইরানি-আমেরিকান বাকের নামাজি ওমানের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের একটি বিমানে ইরান ত্যাগ করেন। তেহরান জানায়, খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে তাকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা